পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১৩৯

রাষ্ট্র সচিব মিঃ সিগিমিৎসুর নিকট হইতেই তিনি রেঙ্গুণে আসিবার জন্য আদেশ পাইয়াছিলেন।

 আরও প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী বলেন যে আজাদ হিন্দ সরকারে যোগদানের পূর্ব্বে তিনি জাপ কূটনৈতিক বিভাগে কার্য্যরত ছিলেন। তিনি পোলাণ্ডস্থিত জাপ দূতের সহিত সংশ্লিষ্ট ছিলেন, মন্ত্রী হিসাবে বুলগেরিয়ায় ছিলেন এবং কিছুকাল টোকিওর বৈদেশিক কার্য্যালয়ের কৃষ্টি বিভাগের প্রধান ছিলেন। রেঙ্গুণে আসিবার সময় তাহার সঙ্গে কোন ক্ষমতাসূচক পত্র ছিল না কারণ উহা তাহাকে দেওয়া হয় নাই। আজাদ হিন্দ সরকার অস্থায়ী বলিয়াই তাঁহাকে কোন ক্ষমতা সূচক পত্র দেওয়া হয় নাই এবং তিনিও তাহা জানিতেন।

 প্রঃ—কিজন্য ক্ষমতাসূচক পত্র আপনাকে দেওয়া হয় নাই তাহা আপনি কি জানিতেন?

 উঃ—কথা প্রসঙ্গে আমাকে জানাইয়া দেওয়া হইয়াছিল যে, কোন ক্ষমতা সূচক পত্রের প্রয়োজন নাই। পরে উহা প্রেরণের সংবাদ আমাকে তারযোগে জানান হইয়াছিল। কিন্তু আমি আদৌ পাই নাই।

 এ্যাডভোকেট জেনারেল স্যার এন, পি, এঞ্জিনীয়ার কর্ত্তৃক জিজ্ঞাসিত হইলে মিঃ হাচিয়া বলেন যে, ১৯৩৯ সালে জাপ মন্ত্রী হিসাবে তিনি বুলগেরিয়ায় ছিলেন। পোল্যাণ্ড হইতে তিনি বুলগেরিয়ায় যান এবং তাঁহার ক্ষমতাসূচক পত্রগুলিও টোকিও হইতে বুলগেরিয়ায় পাঠান হয়।

 প্রশ্ন—রেঙ্গুণ যাত্রাকালে কোন কাগজ পত্র সঙ্গে লইয়াছিলেন কি?

 উঃ—না।

 জাপ সরকারের কোন ব্যক্তির নিকট হইতে প্রাপ্ত কোন পত্রাদিও সঙ্গে গ্রহণ করেন নাই।

 —না। কোন কাগজ পত্রই আমার সঙ্গে ছিল না। রেঙ্গুনে উপস্থিত হইয়াই আমি আজাদ হিন্দ সরকারের পররাষ্ট্র সচিব কর্ণেল চ্যাটার্জ্জীর সহিত