পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
আজাদ হিন্দ ফৌজ

সহরের বাহিরের কয়েকটি বাগান ও জমি দান করিলেন। ঐ জমির মূল্য হইবে ১৫০০০৲ টাকা।

 বর্তমানে হিন্দু সমাজে যে সব কুসংস্কার আছে, রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ তাহা দূর করিবার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করিয়াছেন। কেবল বক্তৃতাতেই অস্পৃশ্যতা বর্জন হয় না, তাই তিনি মেথরদের সহিত একত্র বসিয়া আহার করেন।

 বহু সাম্যবাদীর সহিত তাঁহার আলাপ-আলোচনা হয়। তবে তাঁহারা বর্তমান যুগের সাম্যবাদী নহেন। তাঁহাদের সহিত আলাপ-আলোচনার পর কেবলই ভাবিতেন, ভারতের মুক্তি কোন্ পথে?

 ১৯১২ সালে তিনি পুনরায় ইউরোপ ভ্রমণ করিয়া ফিরিয়া আসিয়া প্রেমমহা বিদ্যালয়ের ভিতর দিয়া সংগঠনকার্য্য আরম্ভ করেন। তিনি বুঝিয়াছিলেন, ভারতের স্বাধীনতা লাভ করিতে হইলে জনগণকে জাগাইয়া তুলিতে হইবে। কিছু কাল দেশে থাকিবার পর যখন তিনি জানিতে পারিলেন যে, ইউরোপে যুদ্ধ আরম্ভ হইয়াছে সেই দিনই তিনি য়ুরোপ যাত্রার জন্য তৈয়ার হইলেন। ইহা তাঁহার তৃতীয়বার য়ুরোপ যাত্রা।

 মহেন্দ্র প্রতাপ যুদ্ধের সময় নানাদেশ ঘুরিয়া নানাদেশের সহায়তা লইতে চেষ্টা করিতেছিলেন; এই জন্য জার্ম্মাণীর কাইজারের নিকট হইতে চিঠি লইয়া তুরস্ক হইয়া আফগানিস্থানে আসেন এবং আমীরের সহিত আলোচনা করেন। পরে আবার জার্ম্মাণীতে ফিরিয়া যান।

 সেই হইতে ভারত সরকার অন্যান্য বহু লোকের সহিত মহেন্দ্র প্রতাপের ভারত আগমন বন্ধ করিয়া দেন। তিনি আফগানিস্থানের নাগরিক অধিকার লাভ করিয়াছিলেন। আফগানিস্থানের আমীর তাঁহাকে খুব ভালবাসিতেন। আমীর আমানুরা তাঁহার বন্ধু ছিলেন। আফগানিস্থানের এজেণ্ট হিসাবে তিনি পৃথিবীর নানাদেশ পর্যটন করিয়াছিলেন।