পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫০
আজাদ হিন্দ ফৌজ

বেসামরিক শাসন সম্পর্কে একটি ট্রেনিং স্কুলও স্থাপিত হয়। নেতাজী সুভাষচন্দ্র সিঙ্গাপুর আসিলে এই স্কুল স্থাপিত হয়।

জাপ ও আজাদ হিন্দ সরকারের সম্পর্ক

 সাক্ষী বলেন যে সমশক্তি সম্পন্ন দুইটি মিত্র রাষ্ট্রের ভিতর যেরূপ সম্পর্ক থাকে নিপ্পন সরকার ও আজাদ হিন্দ সরকারের মধ্যে সেইরূপ সম্পর্কই ছিল। উভয় সরকারের মর্য্যাদাই সমান ছিল। এই বিষয়ে সাক্ষী একটি ঘটনার উল্লেখ করেন। ১৯৪৪ সালের মার্চ্চ মাসে সুভাষচন্দ্র বসু ও জাপদের মধ্যে এক সম্মেলন হয়। যুদ্ধ সহযোগিতা পরিষদের জন্য প্রথমে একজন জাপ সভাপতির নাম জাপানীরা প্রস্তাব করে। কিন্তু সুভাষচন্দ্রের চাপে ঐ প্রস্তাব পরিত্যক্ত হয়। আর এক বার শ্রীযুত বসু জাপ সরকারকে জানান যে মুক্ত অঞ্চল সমূহে কোন জাপানী ব্যবসা চলিতে পারিবে না এবং আজাদ হিন্দ ব্যাঙ্ক ব্যতীত অন্য কোন ব্যাঙ্কও সেখানে থাকিতে পারিবে না। আজাদ হিন্দ সরকারের চারিটি বেতার কেন্দ্র ছিল। এই সমস্ত কেন্দ্রের ভার ছিল সাক্ষীর উপর। জাতীয় বাহিনীতে মালয়ের বহু বে-সামরিক অধিবাসীও ছিলেন। ব্যবসায়ীগণ নগদ অর্থ ব্যতীত বহু খাদ্য দ্রব্যাদিও আজাদ হিন্দ সরকারকে দেন।

 আজাদ হিন্দ সরকারের পক্ষ হইতে বাংলার দুর্ভিক্ষের সময় বাংলার সাহায্যের জন্য একলক্ষ টন চাউল দিবার প্রস্তাব করেন।

 ব্যাঙ্ককে সম্মেলন সম্পর্কে ভারতীয়দের জাপ সরকারের মনোভাব কি তাহা করিতে বলা হয়। সম্মেলনে একটি কর্ম্ম পরিষদ গঠন করে। ১৯৪২ সালে গুজব উঠে যে কর্ম্ম পরিষদের সদস্যরা পদত্যাগ করিয়াছে। কেন তাহারা পদত্যাগ করিলেন সাক্ষী তাহা জানেন না। সাক্ষী বলেন যে তিনি তখন ব্যাঙ্ককে ছিলেন না। সুতরাং তিনি এ সম্বন্ধে কিছু জানিতে পারেন নাই। অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী বলেন যে বার্মা হইতে যে সমস্ত ভারতবাসী অন্যত্র