পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১৫১

চলিয়া গিয়াছিলেন জাপ সরকার তাহাদের সম্পত্তি অনুপস্থিত ভারতীয় সম্পত্তি সমিতির হাতে দেন এবং তাহারা ইহার রক্ষণাবেক্ষণ করেন। এই সমিতি ভারতীয়দের দ্বারা গঠিত এবং ইহা স্বাধীনতা লীগের নির্দ্দেশ অনুযায়ী কাজ করিত। সাক্ষী বলেন যে প্রচার সচিব হিসাবে তাহার কর্ত্তব্য ছিল অস্থায়ী সরকার ও আজাদ হিন্দ ফৌজ সম্বন্ধে সংবাদ প্রচার করা, ভারতীয় জনসাধারণের উদ্দেশ্যে প্রচার করা এবং সভা সমিতির বিষয় বস্তু প্রচার করা। ভারতীয়দের সম্পত্তি অনুসারে স্বেচ্ছায় তাহারা স্বাধীন ভারত সরকারকে তাহাদের উপার্জ্জনের কিছু অংশ দান করিতেন, যাহাদের এই অর্থ সংগ্রহের ভার ছিল তাহারা ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং কি ভাবে অর্থ আদায় করা হইবে ধনী ব্যক্তিদের সহিত এই সম্বন্ধে আলোচনা করিতেন এবং তাহারও আলোচনা হইত। তাহাদের মত অনুসারে কতক অংশ আদায় করা হইবে তাহার একটি হার নির্দ্ধারণ করা হয়। এই হার সর্বত্র সমান ছিল না। এই জন্য মালয়ে একটি কমিটি গঠিত হয় এবং বার্ম্মাতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের লইয়া একটি নেতাজী কমিটি গঠিত হয়।

 অপর একটি প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী বলেন যে ১৯৪৫ সালের জানুয়ারী ও এপ্রিলের মধ্যে আবদুল গনি নেতাজী তহবিল সমিতির সভ্য হন। নেতাজীর জন্মদিবস উপলক্ষে অর্থ সংগ্রহের ব্যাপারে তাহাকে গ্রেপ্তার করিয়া কিছুদিন আটক রাখা হয়। দ্রব্যাদির সংগ্রহ ব্যাপারে কোন বাধ্যবাধকতা ছিল না। সৈন্য বাহিনীতে যাহারা যোগদান করে তাহারা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাতেই যোগদান করিত। কোনরকম বাধ্যতার প্রশ্ন ছিল না। সাক্ষী বলেন যে, আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠনে জাপানীদের কোন হাত ছিল বলিয়া তাঁহার জানা নাই। সৈন্য সংখ্যা সম্পর্কে জাপানীরা কোন সীমা নির্দ্ধারণ করে নাই। জাপ সরকার যে অস্থায়ী সরকারকে স্বীকার করে নেতাজী সুভাষচন্দ্র নিজে তাহা ঘোষণা করেন এবং আজাদ হিন্দ সরকারের গেজেটে জাপ সরকারের এই ঘোষণা প্রকাশিত হয়।