পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫২
আজাদ হিন্দ ফৌজ

 সাক্ষী বলেন যে, বেতার কেন্দ্রগুলি জাপ নিয়ন্ত্রণে ছিল না। আজাদ হিন্দ ফৌজের অফিসার স্বেচ্ছায় গণমত প্রচারের জন্য বক্তৃতা করিতেন এই সম্বন্ধে কোন বাধাবাধকতা ছিল না।

 বাংলার দুর্ভিক্ষ সম্বন্ধে সাক্ষী বলেন যে বাংলায় চাউল পাঠাইবার প্রস্তাব বেতারযোগে ভারতের অধিবাসী এবং বৃটিশ কর্ত্তৃপক্ষের নিকট ১৯৪৩ সালের আগষ্ট মাসে সিঙ্গাপুর হইতে ঘোষণা করা হয়। বেতারযোগে বলা হয় যে যদি বৃটিশ কর্ত্তৃপক্ষ চাউল পাঠাইবার দায়িত্ব নিতে রাজী হন তবে বার্ম্মার যে কোন বন্দর হইতে এই চাউল পাঠাইবার বন্দোবস্ত হইতে পারে।

লেঃ কর্ণেল লোগনাধনের সাক্ষ্য

 স্বাধীন ভারতের অস্থায়ী সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের চীফ কমিশনার লেঃ কর্ণেল এ, ডি, লোগনাধনের সাক্ষ্য অতঃপর গ্রহণ করা হয়।

 লেঃ কর্ণেল লোগনাধন বলেন যে সিঙ্গাপুর পতনের সময় তিনি ১৯ নম্বর ভারতীয় হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৪৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করেন। সাক্ষী ব্যাঙ্কক সম্মেলনেও উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে ৬০।৭০টি প্রস্তাব পাশ করা হয়। ভারতীয়দের সঙ্ঘবদ্ধ হইয়া নিজেদের ধন সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য আবেদন জানান হয়। একটি সৈন্য বাহিনী গঠন করিবার জন্যও একটি প্রস্তাব করা হয়। অপর একটি প্রস্তাবে বলা হয় যে স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য স্বাধীনতা লীগ যাহা কিছু করিবে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের আদর্শেই করিবে। যদি কংগ্রেস আজাদ হিন্দ ফৌজকে ভারতে যাইতে বলে তবেই তাহা করা হইবে।

 সাক্ষী বলেন, ১৯৪২ সালে সুদূর পূর্ব্ব এশিয়ায় আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপ অস্থায়ী ভারত সরকারের হাতে আসিলে তিনি পোর্ট ব্লেয়ারে যান। সাক্ষী