পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬২
আজাদ হিন্দ ফৌজ

 শ্রীযুক্ত দীননাথ তাহার সাক্ষ্যে বলেন যে, আজাদ হিন্দ ফৌজ অসংখ্য বেসামরিক অধিবাসীর প্রাণ রক্ষা করিয়াছে। বৃটিশ গোয়েন্দা বলিয়া জাপানীরা যে সফল লোককে গ্রেপ্তার করিয়াছিল উহারা তাহাদের উদ্ধার করিয়াছে। একবার ৫০ জন গণ্যমাণ্য ভারতীয়কে জাপানীরা গ্রেপ্তার করিয়া ভীষণ শাস্তি দেয়, পরে আজাদ হিন্দ সরকারের হস্তক্ষেপের ফলে তাহারা মুক্তিলাভ করে। ইহার পর হইতে ঐ সকল ব্যাপার আজাদ হিন্দ সরকারের অজ্ঞাতসারে আর হইত না। আর একবার একজন ইংরাজ চিকিৎসক মিঃ জন ও তাহার স্ত্রীকে জাপানীদের হাত হইতে রক্ষা করা হইয়াছিল।

 জাপানীদের ব্রহ্ম দখলের পর তথায় ভারতীয়দিগকে হত্যা তাহাদের ধনসম্পত্তি লুণ্ঠিত হইতেছিল আজাদ হিন্দ সরকার রেঙ্গুণে প্রতিষ্ঠিত হইবার পর এ সকল অত্যাচার বন্ধ হইয়া যায়।

হাবশিব সিংএর সাক্ষ্য

 পরবর্ত্তী সাক্ষী, আজাদ হিন্দ ফৌজের লেঃ হাবশিব সিং বলেন আমি আজাদ হিন্দ ফৌজের একজন সভ্য ছিলাম এবং এখনও আছি।

 সাক্ষী ব্রহ্মস্থিত জীয়াবাদী রাজ্যের আজাদ হিন্দ ফৌজ ট্রেণিং ক্যাম্পের কর্ম্মকর্ত্তা ছিলেন। তিনি জীয়াবাদী সম্পর্কে নিম্নলিখিত বিবৃতি দেন:—আমাদের ট্রেণিং ক্যাম্প ছাড়া সেখানে আজাদী ফৌজের একটী হাসপাতাল একটি চিনির কারখানা ও আজাদ হিন্দ দলের কার্য্যালয় সমূহ ছিল। এই আজাদ হিন্দ দলের কার্য্য ছিল আমাদের সৈন্য কর্ত্তৃক অধিকৃত ভূভাগ ও এলাকাধীন স্থান সমূহ শাসন করা। তহশীলদারগণ কয়েকটি করিয়া গ্রামের উপর কর্ত্তৃত্ব করিতেন এবং রাজস্ব সংগ্রহ করিতেন ও ছোটখাট বিবাদ মীমাংসা বা বিচার করিতেন। বড় বড় বিবাদ সমূহ বিচারের জন্য আজাদ হিন্দ দলের নিকট প্রেরণ করা হইত। আজাদ হিন্দ সরকার জীয়াবাদীতে শ্রীযুক্ত রামচন্দ্র