পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬৪
আজাদ হিন্দ ফৌজ

ক্যাপ্টেন আর্শেদের সাক্ষ্য

 ১৩ই ডিসেম্বর—সামরিক আদালতে দ্বাদশ সাক্ষী ক্যাপ্টেন আর্শেদের জেরা সমাপ্ত হইবার পর আসামীপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ কার্য্য বন্ধ হয়।

 এই দিনের সাক্ষ্য প্রধানতঃ আজাদ হিন্দ ফৌজ ও অস্থায়ী সরকারের শেষ পর্য্যায় সম্বন্ধে এবং গত বৎসর মে মাসে বৃটিশ বাহিনী কর্ত্তৃক ব্রহ্মদেশ পুনরধিকৃত হইবার অব্যবহিত পূর্ব্বে মিত্রপক্ষীয় ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় আজাদ হিন্দ ফৌজের সদস্যবৃন্দ রেঙ্গুনে শান্তি সংরক্ষণ কার্য্যে কিরূপ অংশ গ্রহণ করিয়াছিলেন তদ্বিষয়ের প্রতিই নিবদ্ধ থাকে আজাদ হিন্দ ফৌজে আসামী ক্যাপ্টেন সেহগলের সহকর্ম্মী ও কলেজের সহাধ্যায়ী ক্যাপ্টেন আর্শেদ প্রায় ১৫০০ বর্গ মাইলব্যাপী মনিপুর এবং বিষ্ণুপুরের ‘মুক্ত অঞ্চলে’ শাসন ব্যবস্থা সম্বন্ধে বলেন যে, উক্ত অঞ্চল জাপানী এবং আজাদ হিন্দ সরকার প্রভাবান্বিত সামরিক শাসনের অধীনে ছিল।

 আজাদ হিন্দ ফৌজ ভারতে প্রবেশ করিলে নেতাজী সুভাষচন্দ্র ও ব্রহ্মস্থিত জাপ সেনাপতি একটি ঘোষণা করেন। রণক্ষেত্রে যাইবার পূর্ব্বে উক্ত ঘোষণা আমি দেখিয়াছিলাম। উক্ত ঘোষণায় বলা হইয়াছিল যে, শত্রুকবল মুক্ত অঞ্চল সমূহ অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার কর্ত্তৃক শাসিত হইবে।

 মণিপুরে যে সময় যুদ্ধ চলিতেছিল তখন মুক্ত এলাকা সমূহের শাসনভার ১নং ডিভিসন কম্যাণ্ডার মেজর কিয়ানীর উপর ন্যস্ত ছিল। মোরে অঞ্চলে আজাদ হিন্দ দলের সৈন্য ছিল তবে তাহারাও মেজর কিয়ানীর অধীন ছিল। ঐসময়ে কোহিমায় মোরে হইতে পালেল পর্য্যন্ত ১৫০০ বর্গমাইল ভূভাগ অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকারের অধীন ছিল।

 ষ্টাফ অফিসার হিসাবে তিনি জানিতেন যে, সৈন্যদলসহ শাহ নওয়াজ কোহিমা অঞ্চলে যুদ্ধ করিতে গিয়াছেন। জাপানীরা ২৩শে এপ্রিল রেঙ্গুণ পরিত্যাগ