পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১৬৫

আরম্ভ করে এবং শ্রীযুক্ত বসু ২৪শে এপ্রিল রেঙ্গুণ ত্যাগ করেন। রেঙ্গুণ পরিত্যাগের পূর্ব্বে তিনি কর্ণেল লোগনাধন্‌কে ব্রহ্মে জি, ও, সি ও সাক্ষীকে তাঁহার চীফ অব ষ্টাফ নিযুক্ত করেন। শ্রীযুক্ত বসু তাঁহাদিগকে বলেন যে, রেঙ্গুনে ভারতীয় বেসামরিক অধিবাসীদিগকে রক্ষা করিবার জন্যই তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজ রাখিয়া যাইতেছেন।

 সাক্ষী আরও বলেন, বৃটিশ বাহিনী রেঙ্গুনে না আসা পর্য্যন্ত এই বাহিনী সমস্ত বিষয় নিয়ন্ত্রণ করিবে বলিয়া শ্রীযুত বসু আদেশ দেন। তারপর মিত্রপক্ষীয় প্রতিনিধির হস্তে আত্মসমর্পণ করিবার আদেশ দেন। আদেশ পাইবার পর চীফ অব ষ্টাফ হিসাবে আমি সকল প্রকার ব্যবস্থা আরম্ভ করিয়াছিলাম। ঠিক এই সময়ে জাপবাহিনী ব্রহ্ম ত্যাগ করিতেছিল। ব্রহ্ম দেশীয় কোন সৈন্যদলও বর্ত্তমান ছিল না। ব্রহ্মরক্ষী বাহিনী বলিয়া একটি সৈন্যদল ছিল বটে তবে তাহারা হয় লুকাইয়া ছিল না হয় রেঙ্গুনের বাহিরে ছিল। রেঙ্গুনে সশস্ত্র বাহিনী বলিতে যাহা ছিল তাহা এই আজাদ হিন্দ ফৌজের ৫।৬ হাজার সৈন্য।

 বিভিন্ন সেনানিবাসে এই আজাদ হিন্দ ফৌজ থাকিত। তিনি এই সকল সেনানিবাসের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হস্তে লইয়া পাহারা দিবার এক পরিকল্পনা প্রস্তুত করেন। এই পাহারা কেবল ভারতীয় অধিকৃত এলাকায় ব্যবস্থা করা হইল। জি, ও, সি লোগনাধনের অনুমোদনের পর উক্ত পরিকল্পনা কার্য্যকরী করা হয়। ২৫শে এপ্রিলের মধ্যে জাপানীরা সম্পূর্ণভাবে রেঙ্গুন পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া যায়। তখন রেঙ্গুনে শান্তি ও শাসন ব্যবস্থার কোন আয়োজন ছিল না। রেঙ্গুনে ব্রহ্ম সরকারের একজন অস্থায়ী মন্ত্রী ছিলেন বটে তবে তাঁহার হাতে কোন পুলিশ বাহিনী ছিল না। তিনি তাঁহার নিকট গিয়া তাঁহাকে যথাসাধ্য সাহায্যের আশা দেন। উক্ত মন্ত্রী মহাশয় আজাদ হিন্দ ফৌজের পরিকল্পনায় সম্মতি প্রকাশ করেন এবং পরদিন তাঁহার প্রধান পুলিশ অফিসারকে পাঠাইয়া দেন।