পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭০
আজাদ হিন্দ ফৌজ

দণ্ডাদেশ প্রয়োগ করা হয় নাই

 শ্রীযুক্ত দেশাই বলেন যে, যথা সময়ে তিনি দেখাইবেন যে, দ্বিতীয় অভিযোগ (অর্থাৎ হত্যা ও হত্যাকার্য্যে সাহায্য) সম্বন্ধে যতদূর প্রমাণ পাওয়া যায় তাহাতে যে চারি ব্যক্তিকে গুলী করিয়া হত্যা করা হইয়াছে বলিয়া বলা হইয়াছে, দলিলপত্রে দেখা যায় যে, তাহাদের বিচার হইয়াছিল এবং দণ্ডাদেশ প্রদত্ত হইয়াছিল। ইহা ছাড়া উল্লিখিত অভিযোগের আর কোন ভিত্তি নাই। মহম্মদ হোসেনের সম্বন্ধে কাগজপত্রে এমন কোন প্রমাণ নাই যে, তাহার প্রতি দণ্ডাদেশ প্রদত্ত হইয়াছিল। এই সমস্ত ব্যাপারে আমি ইহা বলিতে বাধ্য যে, যে প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে, তাহাতে আদালত এই সিদ্ধান্তে আসিতে বাধ্য, যদিও এক ক্ষেত্রে দণ্ডাদেশ প্রদান করা হইয়াছিল, এবং অন্যক্ষেত্রে মোটেই প্রদত্ত হয় নাই, তথাপি কোন ক্ষেত্রেই কার্য্যতঃ দণ্ডাদেশ প্রয়োগ করা হয় নাই।”

 শ্রীযুক্ত দেশাই বলেন, এই মামলায় এমন সব ব্যাপারের উদ্ভব হইতেছে, যাহা স্বাভাবিক ধরণের নহে এবং সম্ভবতঃ এই জন্যই সামরিক আদালত এই সকল বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারেন না। সাধারণতঃ সামরিক আদালতে ব্যক্তি বিশেষের কর্ত্তব্য কার্য্যে উপেক্ষা বা তৎসংক্রান্ত অপরাধের বিচার হইয়া থাকে। আমি ইহা দৃঢ়ভাবে বলিতে পারি, এবং দলিলপত্রেও ইহা সমর্থিত হয় যে, বর্ত্তমান মামলা রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অভিযোগে অভিযুক্ত নির্দ্দিষ্ট তিন ব্যক্তির মামলা নহে। সাক্ষ্য প্রমাণে যথেষ্টভাবে এই সত্য, নির্দ্ধারিত হয় যে, অভিযোগের বিবরনানুসারেই অত্র আদালতে অভিযুক্ত এই তিন ব্যক্তি রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত এক সুসংগঠিত বাহিনীর অংশ মাত্র। কোনও পরাধীন জাতি দাসত্ব হইতে মুক্তি পাইবার জন্য যুদ্ধ করিয়া অভিযোগের দায় হইতে অব্যাহতি পাইতে পারে কি না, ইহাই এখন আদালতের বিচার্য্য বিষয়। আন্তর্জ্জাতিক বিধানানুসারে আমি এমন নজীর দেখাইতে পারিব যে, কোন