পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১৭৫

গঠিত ভারত সরকারের হস্তে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সমর্পণ করিয়াছিল (২) প্রায় ৫০ বর্গ মাইল ব্যাপী জিয়াবাদী অঞ্চলটীর অধিকার অস্থায়ী সরকারের হস্তে আসিয়াছিল এবং (৩) প্রায় ১৫০০ বর্গমাইল ব্যাপী মণিপুর ও বিষ্ণুপুর অঞ্চলদ্বয় চারি হইতে ছয় মাস ধরিয়া উক্ত সরকার শাসন করিয়াছিল। প্রথমে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জয় সম্বন্ধে বলিতে যাইয়া শ্রীযুত দেশাই বলেন যে, সরকার পক্ষের সাক্ষী লেঃ নাগ স্পষ্টই বলিয়াছেন যে উক্ত দ্বীপপুঞ্জদ্বয় অস্থায়ী সরকারের হস্তে সমর্পিত হইয়া ছিল। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সাহায্য প্রদানকল্পে আন্তরিকতার প্রাথমিক প্রমাণ স্বরূপ জাপ সরকার যে ভারতীয় অস্থায়ী সরকারের এলাকাধীনে সংশ্লিষ্ট দ্বীপপুঞ্জদ্বয় অনতিবিলম্বে সমর্পণ করিতে প্রস্তুত ছিলেন লেঃ নাগের সাক্ষ্যে জেনারেল তোজোর এই মর্ম্মে ঘোষণা সম্বন্ধে বেশ প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে। পরবর্ত্তীকালে সংঘঠিত ঘটনাবলী হইতে পরিষ্কার দেখা যাইতেছে যে, এতদুদ্দেশ্যে যথাযত ব্যবস্থা অবলম্বিত হইয়াছিল। নবগঠিত ভারত সরকারকে একজন কমিশনারের অধীনে উক্ত দ্বীপপুঞ্জদ্বয়ের শাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে আহ্বান করা হইলে। তিনি তথায় পৌছিবার পর ভারত সরকারের প্রতিনিধিস্বরূপ তাঁহার হস্তে তত্রত্য নৌ ও সামরিককর্ত্তৃপক্ষ পোর্ট ব্লেয়ারে আনুষ্ঠানিক ভাবে সমগ্র ক্ষমতা তাহার হস্তে অর্পন করেন। সরকার পক্ষীয় ও আসামী পক্ষীয় সাক্ষীদের সাক্ষ্যে যে সমান্য পার্থক্য রহিয়াছে উহা ঐ দ্বীপপুঞ্জদ্বয় শাসন ব্যবস্থার প্রকৃত গঠনপ্রণালী ও উহার ব্যপকতা সম্বন্ধে। শ্রীযুত দেশাই বলেন যে সেখানে তৎকালীন অবস্থানুযায়ী তত্রত্য সর্ব্ববিধ শাসন ব্যবস্থার ভার গ্রহণ এবং উক্ত অঞ্চলদ্বয়ের শাসন ভার সমর্পণ এতদুভয়ের মধ্যে বুঝিবার গোলযোগের জন্যই ঐরূপ ভ্রান্তিজনিত পার্থক্য সৃষ্টি হইয়াছে। এই সম্পর্কে তিনি দৃষ্টান্তস্বরূপ বলেন, একটি বাড়ীর স্বত্ত্ব সম্পূর্ণ ভাবে বিক্রয় করিবার পরও উহাদের সর্ব্ববিধ অধিকার প্রদান করিতে কিছুকাল কাটিয়া যায় তবে একথা সত্য যে কর্ণেল লোগনাধন সেখানে শাসন