পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১৭৭

করা হইয়াছিল। উক্ত সংগৃহীত অর্থ হইতেই গভর্ণমেণ্ট ও সৈন্যদলের বায় নির্ব্বাহিত হইত। এইখানে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা যে আজাদ-হিন্দ গভর্ণমেণ্টের অধীনে ব্রহ্ম, মালয় প্রভৃতি স্থানে যে সমস্ত বিচারকার্য্য করা হইত তৎসম্বন্ধে সমস্ত দলিত পত্রাদি পাওয়া গিয়াছে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ হইতে প্রেরিত মাসিক রিপোর্টগুলিও এই দলিলপত্রগুলির মধ্যে পাওয়া গিয়াছে। দলিলপত্রাদি হইতে ইহাও জানা গিয়াছে যে আজাদ-হিন্দ-সরকার পূর্ণভাবেই সংগঠিত হইয়াছিল।

 অতঃপর শ্রীযুত দেশাই একটি দলিলের কথা উল্লেখ করেন।

 দলিলখানি এডভোকেট জেনারেল স্যার এন, পি ইঞ্জিনিয়ারের আপত্তিতে আদালতে পাঠ না করিয়া সামরিক আদালতে দাখিল করা হয়। ইহা একটি প্রবন্ধ।

 “ষ্টাম্প কালেকটিং” নামক সাপ্তাহিক পত্রে ইহা প্রকাশিত হইয়াছিল। এই প্রসঙ্গে শ্রীযুত দেশাই প্রবন্ধটি পাঠ সম্পর্কে এডভোকেট জেনারেলের উক্তিতে আপত্তি করেন।

 শ্রীযুত দেশাই বলেন যে, ঐ সময়ে প্রকাশিত সাহিত্য, ইতিহাস এবং বিজ্ঞান প্রভৃতি যে কোন গ্রন্থাবলীই আদালতের নজীর হিসাবে গ্রহণ করার জন্য আদালতে পাঠ করিবার প্রয়োজন। ঐ সব সাহিত্যের প্রকৃত বিবরণ সংগ্রহ করা প্রয়োজন। কাজেই এই দলিল পত্রাদি পাঠ করা সম্পর্কে এডভোকেট জেনারেল যে আপত্তি উত্থাপন করিয়াছেন তাহার কোন অর্থই হয় না। বিচারপতি অতঃপর শ্রীযুত দেশাইকে আদালতে উক্ত প্রবন্ধ পাঠ করিতে অনুমতি দেন।

 শ্রীযুত দেশাই অতঃপর উক্ত সাপ্তাহিক পত্রের প্রবন্ধটি পাঠ করেন। উক্ত প্রবন্ধে উক্ত সাময়িক পত্রের এক সংবাদদাতা ইম্ফল পরিদর্শনে গিয়া এক নূতন রকমের ডাকটিকিট দেখিয়া আসিয়াছিলেন। ডাক টিকিট দুই রকমের ছিল—