পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১৮৯

সাহায্যে তাহারা তাঁহাকে গ্রেপ্তার করে। জাপানীগণ দ্বিতীয় ভারতীয় বাহিনীকেও প্রীতির দৃষ্টিতে দেখিত না, কিন্তু অপর পক্ষে সমস্ত ভারতীয়গণ এই বাহিনীকে প্রীতির দৃষ্টিতে দেখিলে তখন তাহাকে বাধ্য হইয়াই পছন্দ করিতেই হয়।

 পরবর্ত্তী কথা এই—এই বাহিনী সম্পূর্ণরূপেই ভারতীয় ছিল, উচ্চতর কূটনৈতিক ক্ষেত্রে যদিও জাপানীদের হাতে ছিল, তাহারা অভিজ্ঞ বলিয়াই এরূপ ব্যবস্থা ছিল; তথাপি বাদীপক্ষই বলিয়াছে যে সকল অফিসারই ভারতীয় ছিল, সকলে ভারতীয়দের নিকট হইতেই আদেশ পাইত, জাপানীদের নিকট হইতে নহে।

 সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থিত করা হইয়াছে যে অভিযুক্তগণ মাঝে মাঝে বক্তৃতা দিয়া জানাইত যে, যাহারা পদত্যাগ করিতে ইচ্ছুক তাহারা চলিয়া যাইতে পারে, কিন্তু তাহাদের হাতে এত অধিক সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক মজুত ছিল যে তাহারা তদনুপাতে অস্ত্রশস্ত্র যোগাড় করিতে পারে নাই। এত স্বেচ্ছাসেবক মজুত থাকিতে বলপূর্ব্বক সৈন্যসংগ্রহের প্রশ্ন কিরূপে আসিতে পারে? ব্যক্তিগত ভাবে তাহারা কাহারও উপর নির্য্যাতন বা উৎপীড়ন করিয়াছে বলিয়াও প্রমাণিত হয় নাই।

 আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদানের জন্য যুদ্ধবন্দীদের উপর যে সব অত্যাচারের অভিযোগ আনা হইয়াছে তৎসম্পর্কে শ্রীযুত দেশাই বলেন যে, সাক্ষ্য প্রমাণাদি হইতে সৈনিকদিগকে যোগদানের জন্য অত্যাচার করা সম্পর্কে কোন বিবরণই জানা যায় না। ইহা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিশেষ করিয়া অভিযুক্ত আসামীত্রয় এই ব্যাপারে সম্পুর্ণ নির্দোষ। আসামী-ত্রয়ের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও নিপীড়নের যে সকল কথা সরকার পক্ষীয় সাক্ষী বলিয়াছেন, তাহার উল্লেখ করিয়া শ্রীযুত দেশাই বলেন যে, আসামী-ত্রয়ের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও নিপীড়নের কোন অভিযোগ আনা হয় নাই। তাহা ছাড়া এই অভিযোগের উল্টা সাক্ষ্য এবং বহু সাক্ষীও রহিয়াছে। অতঃপর শ্রীযুত দেশাই এ সম্বন্ধে যে সাক্ষ্য দেওয়া হইয়াছে, তৎসম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা করেন। এই সম্পর্কে তিনি বলেন যে,