পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১৯১

সাক্ষ্যে বলিয়াছেন যে, তিনি মহম্মদ হোসেনের কোন রক্ত দেখিতে পান নাই। ইহা অতি আশ্চর্য্য যে, তিন ব্যক্তির তিনটি গুলী মহম্মদ হোসেনের বুকে একই স্থানে বিদ্ধ হইয়াছিল অথচ সে স্থান হইতে বিন্দুমাত্রও রক্তপাত হয় নাই। সরকার পক্ষের সাক্ষীদের এইরূপ গাঁজাখুরী গল্প হইতেই মহম্মদ হোসেনের হত্যার সত্যতা সম্পর্কিত সকল বিষয় বাহির হইয়া পড়ে। কাজেই মহম্মদ হোসেনের হত্যা সম্পর্কে কোন প্রমানই নাই। যে ব্যক্তিকে গুলী করিয়া হত্যা সম্পর্কে অভিযোগ করা হইয়াছে সেই ব্যক্তি যে কাহারা সে সম্পর্কে কোন সাক্ষীই সুপষ্টভাবে কিছু বলিতে পারে নাই। লেঃ ধীলন উক্ত চারি ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়াছিলেন বলিয়া সরকার পক্ষের সাক্ষ্যে বলা হইয়াছে। কিন্তু যে তারিখে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হইয়াছিল বলা হইয়াছে সেই তারিখে লেঃ ধীলন ঐ স্থানে উপস্থিত ছিলেন না। সুতরাং চারি ব্যক্তির হত্যা লইয়া গল্পটি রচিত হইয়াছে সেই সম্পর্কে আমি সন্দিহান। ঐ চারি ব্যক্তিকে গুলী করিয়া হত্যা করা সম্পর্কে লেঃ ধীলন আদেশ দিয়াছিলেন কিনা সেই সম্পর্কেও আমি সন্দিহান।

 যে অবস্থায় উক্ত চার ব্যক্তির প্রতি মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হইয়াছিল বলা হইয়াছে সেই অবস্থায় কোন জুরীই আসামীদিগকে দণ্ডিত করিতে সাহস করিবেন না।

 শ্রীযুক্ত দেশাই সামরিক আদালতের বিচারপতিদিগকে সম্বোধন করিয়া ওজস্বিনী ভাষায় বলেন, আপনারা এই আদালতের বিচারক তাহা আমি অস্বীকার করিব না। কিন্তু আদালতের বিচারক হওয়ার পূর্ব্বে আপনারা অনুগ্রহ করিয়া সমস্ত ব্যাপার ও পটভূমিকার সম্পর্কে বিচার করুন।

 আমি আবার বলিতেছি লেঃ ধীলন হত্যার সময়ে উপস্থিত ছিলেন বলিয়া যে অভিযোগ করা হইয়াছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ লেঃ ধীলনের পক্ষে তাহা অসম্ভব ছিল। সরকার পক্ষের সমস্ত সাক্ষীই বলিয়াছে উপরোক্ত দণ্ডিত