পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৮
আজাদ হিন্দ ফৌজ

 শ্রীরাসবিহারী বসু কর্ততৃক প্রচারিত “আমাদের সংগ্রাম” নামক পুস্তিকায়ও এই অত্যাচার করিবার কথার উল্লেখ আছে। আদালতে এই দলিল দাখিল করা হইয়াছে। ভারতীয় স্বাধীনতা লীগের অনুমোদনেই এই পুস্তিকা প্রকাশিত হয়। পূর্ব্ব এশিয়ায় ভারতীয় স্বাধীনতা লীগের প্রচার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মিঃ আয়ার বলিয়াছেন যে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছামূলক ভাবেই আজাদ-হিন্দ-ফৌজ গঠিত হইয়াছিল। ঐ পুস্তিকা তাহাকে দেখান হইলে তিনি বলেন যে ভারতীয় বাহিনীর লোকজন এবং অফিসারদের আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করাইবার জন্য অত্যাচার করা হইত বলিয়া ঐ পুস্তিকার যে অংশে উল্লেখ আছে, তাহা তিনি পড়িয়াছেন বলিয়া মনে পড়ে না।

 ক্যাপ্টেন আর্শেদ আলী তাহার সাক্ষ্যে বলিয়াছেন যে শ্রীরাসবিহারী বসু ও ক্যাপ্টেন মোহন সিং-এর ভিতর বন্ধুত্ব পূর্ণ ভাব ছিল না। ইহা হইতে প্রমাণ করিবার চেষ্টা করা হইয়াছে যে, মোহন সিংহের বিরুদ্ধের অভিযোগগুলি সত্য নহে। মিঃ আয়ার বলিয়াছেন, তাঁহার যতদূর জানা আছে কোন ব্যক্তি পুস্তিকার লিখিত ঐ অত্যাচার করিবার অভিযোগের কোন প্রতিবাদ করে নাই। সাক্ষ্যে ইহা প্রমাণিত হইয়াছে যে আজাদ হিন্দ ফৌজের মধ্যে মোহন সিংহের বহু বন্ধু ও অনুবর্ত্তী ছিলেন। ইহা কল্পনা করা যায় না যে পুস্তিকায় লিখিত ঐ অভিযোগ যদি মিথ্যা হইত তাহা হইলে মোহন সিং-এর বন্ধুবর্গের মধ্যে কেহ উহার প্রতিবাদ না করিয়া থাকিতেন।

 স্যার নসিরওয়ান বলেন যে, সরকার পক্ষ আসামীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করিতেছেন না যে, তাঁহারা যুদ্ধবন্দীদের উপর অত্যাচার অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ভাবে লিপ্ত ছিলেন অথবা তাঁহারা সেই অত্যাচার অনুষ্ঠান সম্পর্কে সহায়তা করিয়াছেন। পরন্তু সরকার পক্ষ এই অভিযোগ করিতে চাহেন যে, আসামীগণ যুদ্ধবন্দীদের ভীতি প্রদর্শন করিয়াছিলেন। যুদ্ধবন্দীদের ইহা বলা হইয়াছিল যে, তাহাদের আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করিতে হইবে অ্যথায় তাহাদের উপর