পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১৯৯

অত্যাচার চলিবে। অনুষ্ঠান সম্পর্কে আসামীগণ জ্ঞাত ছিলেন কি না তৎসম্পর্কেও বিবেচনা করিতে হইবে। আসামীগণ অত্যাচার অনুষ্ঠান সম্পর্কে কিছুই জ্ঞাত ছিলেন কি না তৎসম্পর্কে কিছুই অনুমান করা যায় না। কিন্তু এই বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন। যদি আদালত এই সিদ্ধান্ত করেন যে বন্দীশিবিরে অত্যাচার অনুষ্ঠিত হইয়াছিল এবং এই বিষয় সম্পর্কে আসামীগণ অজ্ঞাত ছিলেন না, তাহা হইলে আদালত এই সিদ্ধান্ত করিতে পারেন যে আসামীগণ অনুষ্ঠিত অত্যাচার সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে জ্ঞাত ছিল।

 ইহা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করিবার জন্য আসামীগণ বন্দীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করিতেন। এই বিষয় সম্পর্কে আদালতে অস্বীকার করা হয় নাই।

 এডভোকেট জেনারেল বলেন যে, এই বিচারের প্রসঙ্গে আন্তর্জ্জাতিক আইনের কোন প্রশ্ন উঠে না। এই আদালতে এই বিচার চলিতে পারে কিনা তৎসম্পর্কেও কোন প্রশ্ন উঠিতে পারে না।

 বিচারের মূল উদ্দেশ্যই হইতেছে রাষ্ট্র ও প্রজার সম্পর্ক নির্দ্ধারণ। আসামীগণ ভারতীয় সেনা বিভাগে কমিশন প্রাপ্ত অফিসার ছিলেন। এই সেনা বিভাগ হইতে তাঁহাদের অপসারণ না করা পর্য্যন্ত তাঁহারা ভারতীয় সামরিক বিভাগেরই অন্তর্ভুক্ত থাকিবেন। বস্তুতঃপক্ষে সাক্ষ্যপ্রমাণাদি দ্বারা ইহা বলা যায় যে,যে সকল অফিসার ও সৈন্য আজাদ-হিন্দ- ফৌজে যোগদান করিয়াছিলেন তাঁহারা শেষ পর্য্যন্ত সৈন্য দলে অবস্থান করিতে চাহেন নাই।

 ন্যার নসিরওয়ান বলেন, আসামী পক্ষের প্রধান বক্তব্য এই যে, ভারতীয় দণ্ডবিধি আইনের প্রয়োগ ভারতীয়দের প্রতি একরূপ ও অভারতীয়দের প্রতি অন্যরূপ। তাঁহারা বলিতে চান যে, গ্রেটবৃটেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হইলে রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণায় দোষ নাই। কিন্তু কথা হইতেছে যে, অস্থায়ী সরকার গঠনের ঘোষণাই দোষাবহ এবং এইরূপ ঘোষণার বশবর্ত্তী হইয়া কোনও