পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২০১

 এই সময়ে তাঁহার যুক্তির সমর্থন করিয়া এ্যাডভোকেট জেনারেল অদালতের সাক্ষী কর্ণেল লোগনাধনের সাক্ষ্যর কয়েকটি কথা উল্লেখ করিলে আসামী পক্ষের কৌঁসুলী শ্রীযুক্ত দেশাইয়ের সহিত এ্যাডভোেকট জেনারেলের কিছুক্ষণ বাদানুবাদ হয়।

 বাদানুবাদ প্রসঙ্গে শ্রীযুত দেশাই বলেন যে, সাক্ষ্যে কেহই এমন কিছু বলেন নাই যে, আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করিবার জন্য যুদ্ধ বন্দীদের উপর নানারকম নির্য্যাতন করা হইত।

 অতঃপর স্যার নসিরওয়ান বলেন, যুদ্ধরত বন্দীদের সহিত অন্যান্য রাষ্ট্রের সম্পর্ক এখানে উঠিতে পারে না। সুতরাং আসামীপক্ষ হইতে পক্ষসমর্থন করিয়া যে দাবী উত্থাপিত হইয়াছে—শৃঙ্খলা ও শাসন ব্যবস্থা রক্ষাকারী আদালতে এই আপত্তি টিকিতে পারে না। স্যার নসিরওয়ান অতঃপর মিঃ লোগনাধন এবং মিঃ দীননাথের সাক্ষ্য বিশ্লেষণ করিয়া বলেন যে, আজাদ হিন্দ সামরিক গভর্ণমেণ্টের নিজস্ব শাসনাধীন কোন ভূভাগ ছিল না। ধরা যাক ইহাকে স্বাধীন ভারতের অস্থায়ী সরকার বলা ইহত। কিন্তু ইহা স্বাধীন ভারতের শাসনকার্য্য সম্বন্ধে কোনরূপ কার্য্যকলাপই পরিচালনা করিত না। এই গভর্ণমেণ্টের কার্য্যকলাপ মাত্র কাগজপত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল। বাস্তবিক পক্ষে ইহা কোন গভর্ণমেণ্টেই ছিল না।

 জাপান এবং তাহার মিত্রশক্তিবর্গ কর্ত্তৃক এই সামরিক গভর্নমেণ্টকে স্বীকার সম্পর্কে স্যার নসিরওয়ান বলেন যে, যুদ্ধজয় এবং স্বকীয় স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যেই জাপান এবং তাহার মিত্রশক্তিবর্গ এই গভর্ণমেণ্টকে মানিয়া লইয়াছিল। জাপানই জার্ম্মাণীর সহিত ব্যবস্থা করিয়া শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসুকে জার্ম্মাণী হইতে মালয়ে আনাইয়াছিল। জাপান পররাষ্ট্র বিভাগের কর্ম্মচারী মিঃ মাৎসুমতো তাঁহার সাক্ষ্যে বলিয়াছেন যে, জাপান স্বাধীন ভারতের সামরিক গভর্ণমেণ্টকে এই সর্ত্তে স্বীকার করিয়া লইয়াছিল যে, উহা জাপানের যুদ্ধপ্রচেষ্টায়