পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২০৫

ভুলাভাই দেশাই বলেন, আদেশ পত্রটিকে সাক্ষ্য প্রমাণরূপে ব্যবহার করা যাইবে না এই সম্পর্কে প্রত্যক্ষভাবে প্রমাণ দিতে হইবে।

 সরকারীকৌঁসুলী—আদেশ পত্রটি সত্য বলিয়া প্রমাণিত হইয়াছে।

 মিঃ দেশাই—উহার মধ্যে যে স্বাক্ষর আছে তাহা প্রমাণিত হইয়াছে, কিন্তু আদেশনামাটি সম্পর্কে কোন কিছু প্রমাণ উপস্থিত করা হয় নাই।

 সরকারী কৌঁসুলী (উষ্ণস্বরে)—আমি বলিতেছি যে উহা প্রমাণিত হইয়াছে। এই সম্পর্কে আমি বাদানুবাদ করিতে চাই না।

 সওয়ালের উপসংহারে এ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন যে, আসামীদের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ উত্থাপিত হইয়াছে তাহা প্রমাণিত হইয়াছে। আসামীগণ তাহাদের স্বদেশপ্রেম সম্বন্ধে যে বিবৃতি প্রদান করিয়াছে তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্ন উঠিতে পারে না। আসামীগণকে শান্তি প্রদান করিতে হইবে।

কর্ণেল কেরিণ

 ২৯শে ডিসেম্বর সামরিক আদালতে জজ এডভোকেট কর্ণেল কেরিণ বাদী ও প্রতিবাদী পক্ষের সওয়ালের মর্ম্ম আদালতের কাছে বিবৃত করেন।

 কর্ণেল কেরীণ বলেন, “কিছুদিন যাবৎ আপনারা এমন একটি মামলা শুনিয়েছেন, যাহা স্বভাবতঃই আপনাদের গভীর চিন্তার মধ্যে ফেলিয়াছে। আইন এবং ঘটনার দিক দিয়া এইরূপ জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা সামরিক আদালতে খুব বেশী আসে না। আপনাদের উপর এই বিরাট দায়িত্ব পড়িয়াছে এবং আপনাদের সম্মুখে গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত এই তিন ব্যক্তি দোষী কি নির্দ্দোষী, আপনাদের তাহা স্থির করিতে হইবে।

 “একটি বিষয়ের উপর আমি বিশেষ জোর দিতে চাই। যে পদে আমাকে নিযুক্ত করা হইয়াছে, সেই পদের মর্য্যাদা রক্ষার জন্য এই মামলার সম্পর্কে আমার মনোভাবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকিবে। আমার কর্ত্তব্য হইতেছে আইনগত প্রশ্ন