পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌন্দ
২১৩

করা হইয়াছে, সে সম্পর্কে জজ এডভেকেট কর্ণেল কেরিন বলেন—উক্ত চারি ব্যক্তিকে লেঃ ধীলনের আদেশে গুলী করিয়া হত্যা করা হইয়াছিল বলিয়া অভিযোগ করা হইয়াছে। এখানে রাজসাক্ষী উত্তান সিংহ ও হাফিজের সাক্ষ্য যদি আদালত জিজ্ঞাসা করেন তাহা হইলে মনে হয় যে লেঃ ধীলনই উক্ত চারি ব্যক্তির হত্যার জন্য দায়ী। হরি সিংহ, দুলিচাঁদ, দারায়ো সিংহ ও বর্ম্ম সিংহকে উক্ত চারি ব্যক্তি বলিয়া বর্ণনা করা হইয়াছে। এই চারি ব্যক্তির হত্যা সম্পর্কে পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং উক্ত চারি ব্যক্তিকেই হত্যা করা হইয়াছিল কিনা সেই সম্পর্কে আপনাদিগকে যথাযথ ভাবে বিবেচনা করিতে হুইবে। এই সম্পর্কে প্রথম কথা হইল যে উপরোক্ত দুই জন রাজসাক্ষীই উক্ত চারি ব্যক্তিকে সনাক্ত করিতে পারে নাই। কিন্তু এই সম্পর্কে দুইটি অপরাধ-পত্র রহিয়াছে। রাজসাক্ষী দুইজন পরষ্পর বিরোধী সাক্ষ্য দিয়াছে। যদি আদালত এই সিদ্ধান্তই গ্রহণ করেন যে উপরোক্ত চারি ব্যক্তিকে গুলী করিয়া হত্যা করা হইয়াছিল তাহা হইলে কি অবস্থায় তাহাদের হত্যা করা হইয়াছিল তাহা অবশ্যই বিবেচনা করিবেন। আদালতকে তখন উক্ত চারি ব্যক্তির হত্যা সম্পর্কে সমস্ত পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিচার করিতে হইবে।

 কিন্তু লেঃ ধীলন তাহার বিবৃতিতে বলিয়াছেন যে, উক্ত চারি ব্যক্তিকে সত্যই প্রাণদণ্ডাদেশ দেওয়া হইয়াছিল কিন্তু সেই দণ্ডাদেশ কার্য্যে পরিণত হইয়াছে বলিয়া যে অভিযোগ করা হইয়াছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

 আদালত যদি মনে করেন যে চার্জ্জসিটে উল্লিখিত চারি ব্যক্তি এবং যাহাদের গুলী করা হইয়াছে বলিয়া অভিযোগ করা হইয়াছে উহারা অভিন্ন, কিন্তু সাক্ষ্যে মৃত্যুর কথা সন্তোষজনকভাবে প্রমাণিত হয় নাই—তাহা হইলে আদালত বিচার করিয়া দেখিতে পারেন, যে কোন বিষয়ের অভিযোগ বা সমস্ত অভিযোগে হত্যা করার চেষ্টা করা হইয়াছে বলিয়া আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাব্যস্ত করা যুক্তিযুক্ত হইবে কি না।