পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২১৬
আজাদ হিন্দ ফৌজ

 “ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ, ক্যাপ্টেন সেহগল ও লেঃ ধীলন সামরিক আদালতে সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবার অভিযোগে অভিযুক্ত হইয়াছিলেন। লেঃ ধীলনের বিরুদ্ধে নরহত্যার অভিযোগ এবং অপর দুইজনের বিরুদ্ধে নরহত্যার সহায়তার অভিযোগ আনা হয়। আদালত সাব্যস্ত করিয়াছেন যে, তিনজনই সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবার অভিযোগে অপরাধী। পক্ষান্তরে ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ নরহত্যার সহায়তার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হইয়াছেন। ক্যাপ্টেন সেহগলকে নরহত্যার সহায়তা এবং লেঃ ধীলনকে নরহত্যার অভিযোগ হইতে অব্যাহতি দেওয়া হইয়াছে।

 সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালনার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত আসামীদিগকে মৃত্যুদণ্ড কিম্বা যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ডে দণ্ডিত করিতে বাধ্য। আইন অনুযায়ী ইহা অপেক্ষা ন্যূনতর শাস্তি দেওয়া চলে না। আদালত আসামীদিগকে যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ডে দণ্ডিত করেন এবং তাহাদিগকে চাকুরী হইতে বরখাস্ত করিবার এবং তাহাদের প্রাপ্য বেতন ও ভাতা বাজেয়াপ্ত করিবার হুকুমও প্রদান করেন। দণ্ড অনুমোদিত না হওয়া পর্য্যন্ত সামরিক আদালত কর্ত্তৃক প্রদত্ত দণ্ড বা রায় বহাল হয় না। এ ক্ষেত্রে দণ্ড অনুমোদনকারী অফিসার হইলেন জঙ্গীলাট। তিনি এ বিষয়ে নিঃসন্দেহ যে আদালতের রায় প্রত্যেক ক্ষেত্রে সাক্ষ্য প্রমাণের সহিত সামঞ্জস্য রক্ষা করিয়া প্রদত্ত হইয়াছে, এই হেতু তিনি আদালতের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করিয়াছেন।

 দণ্ড হ্রাস বা মুকুব করিবার ক্ষমতাও অনুমোদনকারী অফিসারের আছে। ইতিপূর্বেই সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়া বলা হইয়াছে যে, সরকার ভবিষ্যতে সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবার এবং নৃশংস অত্যাচারমূলক কার্য্য করিবার অভিযোগে দোষী ব্যক্তিদিগকেই শুধু আদালতে বিচারার্থ উপস্থিত করিবেন এবং ইহাও বলা হইয়াছে, যে আদালত কর্ত্তৃক প্রদত্ত রায় পর্য্যালোচনা করিবার সময় উপযুক্ত