পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ক্যাপ্টেন বুরহানুদ্দিনের বিচার

 প্রথম সামরিক আদালতের বিচারের পর আজাদ হিন্দ ফৌজের যে সমস্ত বীর সৈনিকদের বিচার হইয়াছে সেই বিচারের বিবরণের মধ্যে বিশেষ নূতন তথ্য না থাকায় তাহাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও প্রদত্ত শাস্তি সহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নে দেওয়া হইল:—

 দ্বিতীয় মামলায় আসামী ছিলেন চিত্রলরাজের ভ্রাতা ক্যাপ্টেন বুরহানুদ্দিন। ইহার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা, গুরুতর আঘাত এবং নরহত্যা। ১৯৪২ সালের ৩রা ডিসেম্বর হইতে ১৯৪৬ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারী পর্য্যন্ত এই মামলার শুনানী চলে এবং বুরহানুদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। সামরিক আদালত নরহত্যার অভিযোগ হইতে তাঁহাকে রেহাই দেন প্রধান সেনাপতি এই দণ্ডাদেশ হ্রাস করিয়া তাঁহাকে সাত বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন এবং চাকুরী হইতে বরখাস্ত করার এবং প্রাপ্য বেতন বাজেয়াপ্ত করার নির্দ্দেশ বহাল রাখেন।

 বিচার আরম্ভ হইবার কয়েক মিনিট পরেই আদালতকে একটি আইনগত জটিল প্রশ্নের সম্মুখীন হইতে হয়। সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাইবার এবং নরহত্যার অভিযোগ পঠিত হইবার সঙ্গে সঙ্গেই আসামী পক্ষের প্রধান কৌঁসুলী শ্রীযুক্ত ভূলাভাই দেশাই এই মর্ম্মে একটি আপত্তি উত্থাপন করেন যে, এই আদালতের আসামীকে বিচার করিবার অধিকার নাই। কারণ আসামী চিত্রলের রাজার ভ্রাতা, কাজেই তিনি বৃটিশ ভারতের প্রজা নহেন। বৃটিশ ভারতের বাহিরে যে অপরাধ অনুষ্ঠিত হইয়াছে তজ্জন্য বৃটিশ ভারতের কোন আদালতে তাঁহার বিচার চলিতে পারে না।

 ক্যাঃ বুরহানুদ্দিনের বিরুদ্ধে এই মর্ম্মে অভিযোগ করা হয় যে, ১৯৪২ সালের