পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২২৭

একজন সাক্ষী সিপাই গুল বলে যে, সে অত্যাচারের ভয়েই আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করিয়াছিল। অপর একজন সরকারী সাক্ষী নায়ক মহিন্দর সিং বলে যে, সে স্বেচ্ছায় আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করিয়াছিল। বন্দীশিবিরে থাকাকালীন সে দুইবার ক্যাঃ রসিদকে দেখিয়াছিল কিন্তু কাহাকেও মারপিট করিতে দেখে নাই।

 ১৯শে জানুয়ারী সামরিক আদালতে অধিবেশন আরম্ভ হইলে বাদীপক্ষের কৌঁসুলী মিঃ আব্দুল আজিজ খানের জেরায় চতুর্থ সরকারী সাক্ষী গোলন্দাজ সাধুসিং বলে যে, ক্যাঃ রসিদকে বা কাহাকেও অত্যাচার করিতে বা কাহারও প্রতি দুর্ব্যবহার করিতে সে দেখে নাই। ফরিয়াদী পক্ষের কৌঁসুলীর জেরার উত্তরে সাক্ষী বলে যে, ক্যাম্পে মাত্র একটি রন্ধনশালা থাকিত। হিন্দু মুসলমান ও শিখ বন্দিগণ সকলে একই রন্ধনশালায় আহার করিত।

 ২৮শে জানুয়ারী সামরিক আদালতের অধিবেশনে জজ এডভোকেট্ বলেন, “যে সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ গৃহীত হইয়াছে তাহাতে জানা যায় যে, আসামীর আদেশানুযায়ী বন্দী নিবাসের কর্ম্মচারীরা আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদানের জন্য লোকদের বক্তৃতা দিত এবং আসামী আজাদ হিন্দ ফৌজে সৈন্য সংগ্রহ এবং তাহাদের শিক্ষাদান ব্যাপারে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করিয়াছিলেন। সাক্ষী তাঁহার সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষার্থে আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করিয়াছিলেন বলিয়া যে মন্তব্য করিয়াছেন তাহার দ্বারা তাঁহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ খণ্ডিত হয় না। সরকার পক্ষের সাক্ষ্যে জানা যায় যে, আসামী তাহাদের উপর নির্ম্মম অত্যাচার করিয়াছে।

 জজ এডভোকেটের বক্তৃতা শেষ হইলে আদালত আসামীর চরিত্র সম্বন্ধে জানিতে চান। জানা যায় যে, আসামী ইহার পূর্ব্বে কোন আদালতে অভিযুক্ত হন নাই। তাঁহার চরিত্র খুব ভাল বলিয়া ঘোষণা করা হয়।

 আসামী কোন বিবৃতি দিতে অস্বীকার করেন।