পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

আজাদী সৈনিকদের উপর প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা

 ভারতের জাতীয় বাহিনীর ভাগ্য বিপর্য্যয়ের পর বৃটিশ গবর্ণমেণ্ট উক্ত বাহিনীর সৈন্য এবং কর্ম্মচারীবৃন্দের উপর যে প্রতিশোধমূলক যে অত্যাচার করিয়াছে পৃথিবীর কোন সভ্য দেশের ইতিহাসে তাহার কোন নজির পাওয়া যায় না। বৃটিশ সরকার ইতিহাস প্রসিদ্ধ নাৎসী অত্যাচারের প্রমাণ স্বরূপ বেলসেন বন্দী শিবিরের নিন্দা-প্রচারে পঞ্চমুখ। কিন্তু আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈনিক এবং অফিসারদের উপর নৃশংস অত্যাচার কাহিনী বেলসেন বন্দি-শিবিরের অত্যাচারকেও হার মানাইয়াছে। সেই অমানুষিক অত্যাচার কাহিনীর আংশিক বিবরণ নিম্নে দেওয়া হইল:—

 গত ৭ই ফেব্রুয়ারী ভারতের কেন্দ্রীয় পরিষদের আজাদ-হিন্দ সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরে সমর বিভাগের সেক্রেটারী যাহা বলেন তাহাতে জানা যায়, আজাদ হিন্দ ফৌজের অনুমান ১৯০০০ লোককে পুনরুদ্ধার করা হইয়াছে। ইহাদের মধ্যে ছয় হাজার সৈনিককে ভারতবর্ষে এবং দুই হাজার দক্ষিণ পূর্ব্ব এসিয়ার আটক করিয়া রাখা হইয়াছে। ইহাদের মধ্যে ২৭ জন সৈনিক আটক থাকা কালীন মারা গিয়াছেন এবং ৯ জনকে ফাঁসি দেওয়া হইয়াছে।

 এই সমস্ত সৈনিকদের বিচার কোন প্রকাশ্য আদালতে করা হয় নাই এবং আজাদ হিন্দ সংক্রান্ত কোন ব্যাপারই প্রকাশ করা হয় নাই এবং যে নয়জন সৈনিককে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করা হইয়াছিল তাহাদিগকে কখন কোথায় ফাঁসি দেওয়া হইয়াছিল এবং তাহাদের নাম ধাম কিছুই প্রকাশ করা হয় নাই।