পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩৪
আজাদ হিন্দ ফৌজ

নীলগঞ্জ বন্দী-শিবির

 সেপ্টেম্বর মাসে বাঙ্গলায় নীলগঞ্জ বন্দীশিবিরে আজাদ হিন্দ ফৌজের দুইজন বন্দী গুলী বর্ষণের ফলে নিহত হয়। এতদ্ব্যতীত ১২ জন বন্দী গুলী বর্ষণের ফলে সাংঘাতিক রূপে আহত হয়, তন্মধ্যে ৩ জন পরদিন মারা যায়।

 ঘটনার বিবরণে প্রকাশ যে, ২৬।৩ মাদ্রাজ রেজিমেণ্টের কম্যাণ্ডিং অফিসার এ সি গোপালন নাম্বেয়ার, ক্যাপ্টেন ই, আর, আর, মেনন, সুবেদার রামস্বামী থেবার ও জমাদার বিশ্বনাথ কোনার প্রভৃতি নীলগঞ্জ বন্দীশিবিরের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। সেই সময় উক্ত শিবিরে মোট ১০২৪ জন বন্দী ছিলেন। ২৫শে সেপ্টম্বর রাত্রি দশ ঘটিকার সময় শিবিরের সকল আলোই নির্ব্বাপিত হয়। সকলেই নিদ্রা যাইবার জন্য প্রস্তুত হইতেছিলেন। এমন সময় ক্যাপ্টেন মেনন বেড়া ডিঙ্গাইয়া ভিতরে প্রবেশ করেন এবং কুৎসিত ভাষায় বন্দীদের গালাগালি করিয়া তাহাদের পাঁচ মিনিটের মধ্যে শ্রেণীবদ্ধ হইতে বলেন। বন্দীগণ সঙ্গে সঙ্গেই আদেশ পালন করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁহারা বিপদসূচক সংঙ্কেত ধ্বনি শুনিতে পান এবং কিছুক্ষণ পরেই ছুটাছুটির শব্দ শোনা গেল। ইতিমধ্যেই ক্যাপ্টেন মেনন ও জমাদার বিশ্বনাথ কোনার ৫০ জন সিপাহীসহ বন্দুক রাইফেল ও পিস্তল লইয়া ভিতরে প্রবেশ করিয়া সমবেত ব্যক্তিদের উপর গুলীবর্ষণের জন্য প্রস্তুত হয়। ক্যাঃ মেনন সন্মুখে অগ্রসর হইয়া মালয়ালম ভাষায় বলেন, “কুত্তার বাচ্ছাদের উপর গুলীবর্ষণ কর”। বন্দীদের একজন তাহার ঐ কথায় আপত্তি করিলে ক্যাঃ মেনন তাঁহার লোকদের বন্দীদের উপর গুলীবর্ষণ করিতে আদেশ দেন। কিন্তু সিপাহীগণ তাঁহার আদেশ পালন করে নাই। কারণ পূর্ব্বেও বন্দীদের ভীতিপ্রদর্শনের জন্য অনুরূপ আদেশ দেওয়া হইত।

 পূর্ব্ব রীতি অনুসারে সিপাহীরা কয়েকবার ফাঁকা আওয়াজ করে কিন্তু