পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২৩৫

ক্যাপ্টেন তাহাদের গুলীবর্ষণ করিতে আদেশ দেন। গুলীর শব্দ শুনিয়াই বন্দীগণ ‘নেতাজী কি জয়। ও ‘জয় হিন্দ’ প্রভৃতি ধ্বনি করিতে করিতে শুইয়া পড়ে। পাঁচ মিনিটের অধিক গুলী চালান হয়। গুলী বর্ষণ ক্ষান্ত হইলে বন্দীগণ উঠিয়া পড়েন এবং দেখেন যে, ক্যাঃ মেনন ও তাঁহার লোকজন বাহির হইয়া যাইতেছে। কিন্তু সেই সঙ্গে তাঁহারা দেখেন যে, তাঁহাদের মধ্যে ২ জন নিহত এবং ১২ জন সাংঘাতিক রূপে আহত হইয়াছেন। আজাদ হিন্দ ফৌজের মেডিকেল অফিসার মেজর রামকৃষ্ণপ্রসাদ, ক্যাঃ গাঙ্গুলী প্রভৃতি আহতদের শুশ্রূষা করেন। কিছুক্ষণ পরে জনৈক ইউরোপীয় অফিসার আহতদের আলিপুর সামরিক হাসপাতালে প্রেরণের ব্যবস্থা করেন। পরদিন ৩ জন হাসপাতালে মারা যান এবং ৯ জন আহত ব্যক্তি এক মাস কাল চিকিৎসাধীন থাকেন। যে কয় ব্যক্তি মারা গিয়াছেন তাঁহাদের নাম নিম্নে দেওয়া হইল—পাঞ্জাবের কর্ণায়ল সিং, মাদুরার মহম্মদ কাশিম, পটুয়া কোর্টালের কর্পূপিয়া, কুদালোরের নারী ইয়াপ্পন ও অপর এক ব্যক্তি। ২৬শে সেপ্টেম্বর তারিখে সকল বন্দী মৃত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য অনশন করেন এবং সন্ধ্যাকালে প্রার্থনা করেন। উক্ত ঘটনার পর দুই দিন পর্য্যন্ত বন্দীদের নাম ডাকা হয় নাই।

 মণ্টগোমারী জেলের দুর্ঘটনা। ১৯৪৫ সালের ১৯শে অক্টোবর মণ্টগোমারী জেলে জাতীয় বাহিনীর একটি দলের উপর অমানুষিক লাঠি চার্জ্জ করা হয়। প্রায় ছয় সাত জন লোককে লাঠি চার্জ্জের পর টানিয়া বাহির করিতে দেখা যায়। তার মধ্যে ত্রিলোক সিং, গুরুমুখ সিং এবং লেখরাম সিং পরে মৃত্যুমুখে পতিত হয়।

 দিল্লী জেলে অমানুষিক অত্যাচার ১৯৪৪ সালের ২৪শে আগষ্ট তারিখে দিল্লী জেলে জাতীয় বাহিনীর তিন জন সামরিক অফিসার আজাই সিং, সত্যেন্দ্র লাল মজুমদার, এবং জাহির আহমদকে প্রাণ দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। প্রিভি-