পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১৯

করেন। জাপানীগণ উক্ত পর্ব্বত অধিকার করায় এই সৈন্যদল মূল বাহিনী হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া যায়। ঐ দিবস অপরাহ্নে তিনি তাঁহার মূল সেনাদলের সহিত পুনরায় যোগসূত্র স্থাপন করেন। এই সময় জাপানীগণ প্রবলভাবে আক্রমণ করিলে তিনি তাঁহার সৈন্যদলের সাহায্যে সে আক্রমণ প্রতিহত করিয়া তিনটি জাপানী ট্যাঙ্ক অধিকার করেন। ১৩ই ফেব্রুয়ারী ব্রিটিশ কর্ত্তৃপক্ষের আদেশ অনুযায়ী কর্ণেল সেহ্‌গল জাপানীদের নিকট আত্মসমর্পণ করেন।

 শৃঙ্খলিতা ভারত জননীর মুক্তি সাধনের জন্য ১৯৪২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করেন, এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের অফিসারদের শিক্ষার ভার গ্রহণ করেন।

কর্ণেল গুরুবক্স সিং ধীলন

 আজাদ হিন্দ ফৌজের অন্যতম অভিযুক্ত আসামী কর্ণেল গুরুবক্স সিং ধীলন। তিনি জাতিতে শিখ, দেখিতে গৌরবণ মধ্যমাকৃতি। তিনি যে পরিবারসম্ভূত, সে পরিবারের অনেকেই বহুদিন যাবৎ সেনাবাহিনীতে কাজ করিয়াছেন। তিনি ১৯১৬ সালে লাহোরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৫ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া তিনি সৈন্যবাহিনীতে সিপাহী হিসাবে যোগদান করেন। তিনি দেরাদুন ও নবাবগঞ্জ সামরিক বিদ্যালয় হইতে সম্মানের সহিত উত্তীর্ণ হইয়া গুরুবক্স ১।১৪ পাঞ্জাব রেজিমেণ্টের অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৩৯ সালে যুদ্ধ বাধিলে তাঁহাকে এবং তাঁহার রেজিমেণ্টকে মালয়ে পাঠান হয়। মালয়ে কিছুকাল অবস্থান করিবার পর পুণায় আরও অধিক ব্যবহারিক সামরিক শিক্ষালাভের জন্য তিনি ভারতবর্ষে প্রত্যাবর্তন করেন। এখানেও তিনি সসম্মানে উত্তীর্ণ হন এবং তাঁহার রেজিমেণ্টে যোগদানের জন্য পুনরায় মালয় যাত্রা করেন। এই সময় তাঁহাদের রেজিমেণ্টটি উত্তর মালয়ের