পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩৬
আজাদ হিন্দ ফৌজ

কাউন্সিলে বিচারের জন্য তাঁহারা যে আবেদন করিয়াছিলেন তাহাও অগ্রাহ্য করা হয়। ঘটনার বিবরণে আরও প্রকাশ যে জাতীয়বাহিনীয় লেফটন্যাণ্ট অবদেশ্বর রায় এবং শ্যামলাল পাণ্ডেকে কাশীতে গ্রেপ্তার করা হয় এবং গোরক্ষপুর কেতোয়ালী এবং লক্ষ্মৌয়ের সি, আই, ডি আফিসে জিজ্ঞাসবাদ করার পর তাঁহাদিগকে দিল্লীর লাল কেল্লায় স্থানান্তরিত করা হয়। তথায় জাতীয় বাহিনীর অন্যতম প্রধান লেফটেন্যাণ্ট জহির আহমেদের সহিত তাঁহাদের সাক্ষাৎ হয়। জাহির আহমেদকে তখন ভীষণ ভাবে বেত্রাঘাত করা হইয়াছিল। এক সপ্তাহ পরে তাঁহাকে লাহোর দুর্গে স্থানান্তরিত করা হয়। পূনর্ব্বার লেঃ অবদেশ্বর রায় এবং শ্যামলাল পাণ্ডেকে দিল্লীর লালকেল্লার এক অন্ধকার কোঠায় আবদ্ধ করিয়া রাখা হয় এবং স্বীকারোক্তি করিতে বাধ্য করিবার জন্য তাঁহাদিগকে ভীষণ ভাবে বেত্রাঘাত করা হয়। তাঁহাদিগকে একই কুঠুরিতে সাতসপ্তাহ পর্যন্ত আটক করিয়া রাখা হয়। অবদেশ্বর রায় অসুস্থ হইয়া পড়ায় তাঁহাকে মূলতান দুর্গে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তাঁহাকে ভীষণ শীতের মধ্যে একটি খাটিয়াতে দশ দিন কাটাইতে বাধ্য করা হয়। তৎপর তাঁহাকে মফঃস্বলে একটা জেলে পাঠান হয়, সেখানে তিনি আমরণ অনশনের সঙ্কল্প করেন।

 পথিমধ্যে আজাইব সিং এবং জহির আহমদের সাক্ষাৎ হয়। তাঁহাদিগকে (আজাইব সিং এবং জহির আহমদকে) তখন দিল্লী জেলে লইয়া যাওয়া হইতেছিল। লাহোর দুর্গে ভীষণ বেত্রাঘাতের ফলে আজাইব সিংএর মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটে এবং তাঁহার সাথী সত্যেন্দ্র লাল মজুমদারের মস্তিষ্কে ক্ষত চিহ্ন দেখা যায়। তাঁহাদের দুইজনকেও দিল্লী জেলে ফিরাইয়া আনা হইয়াছিল।

 আজাদ হিন্দ ফৌজের উল্লিখিত পাঁচজন সৈনিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তাঁহারা তখন আত্মপক্ষ সমর্পন করিবার জন্য কৌঁসুলী নিয়োগের প্রার্থনা করিলে তাঁহারা কংগ্রেস পন্থী এই অপরাধে তাঁহাদের প্রার্থনা অগ্রাহ্য