পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩৮
আজাদ হিন্দ ফৌজ

 চোপরার প্রতি প্রাণদণ্ডাজ্ঞা—১৯৪৪ সালে ১৮ই ডিসেম্বর দিল্লীর স্পেশাল জজ বিচারান্তে ভারতের জাতীয় বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের অধ্যক্ষ শ্রীযুত চোপরাকে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করেন। পুনর্বিচারকারী জজ কর্ত্তৃক উক্ত আদেশ সমর্থিত হইলে শ্রীযুত চোপরার পক্ষে প্রিভি কাউন্সিলে পুনরায় বিচারের জন্য আবেদন করা হয় কিন্তু প্রিভি কাউন্সিলের জুডিসিয়েল কমিটি উক্ত আবেদন অগ্রাহ্য করেন।

 ১৯৪৩ সাল হইতে ১৯৪৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে বৃটিশ ভারত এবং বাহিরে বিভিন্নস্থানে আরও চার জন লোকের সহযোগিতায় শ্রীযুত চোপরা শত্রু পক্ষকে সাহায্য করিবার এবং সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাইবার ষড়যন্ত্র করিয়াছিলেন বলিয়া তাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনয়ন করা হয়।

 আবেদনকারীর (শ্রীযুত চোপরা) পক্ষের কৌঁসুলী যুক্তি দেখাইয়া বলেন যে, শ্রীযুত চোপরার প্রতি যে শাস্তি বিধান করা হইয়াছে সাক্ষ্য প্রমাণ দ্বারা তাহা সমর্থন করা যায় না।

 ক্যাপ্টেন ধরমসিং গুলীর আঘাতে আহত—আজাদ হিন্দ ফৌজের ক্যাপ্টেন ধরম সিং ঝিকরগাছা বন্দী নিবাসে আটক ছিলেন। গুলীর আঘাতে আহত হইয়া তিনি সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় কিছু কাল হাসপাতালে ছিলেন।

 বন্দী নিবাসে থাকাকালীন এক ঘর হইতে অন্য ঘরে যাইবার সময় তিনি গুলীর আঘাতে আহত হন। গুলীটি তাহার দক্ষিণ নিতম্ব ভেদ করিয়া পাকস্থলীর একপার্শ্বে স্পর্শ করিয়াছিল ৷

 আজাদ হিন্দ ফৌজের অফিসারের আত্মহত্যা—লেফটেনাণ্ট আজমীর সিং এবং লেঃ মজহর সিংকে ১৯৪৫ সালের জুন মাসে ইম্ফল রণক্ষেত্রে গ্রেপ্তার করা হয় এবং দিল্লী আনয়ন করিয়া তাহাদিগকে লাল কেল্লায় আটক করিয়া রাখা হয় এই দুইজন অফিসারই ১৯৪৪ সালের ৫ই নবেম্বর সন্ধাবেলা অত্মহত্যা করেন। নিম্নে ঘটনার বিবরণ দেওয়া হইল:—