১৯৪৪ সালের ৫ই নবেম্বর সন্ধ্যার পূর্ব্বে নিষেধ সত্ত্বেও বন্দুকধারী একজন পাহারাওয়ালা বারান্দার আলো জ্বালাইবার নিমিত্ত উপরোক্ত বন্দী অফিসারদ্বয়ের কক্ষে প্রবেশ করে। এই সময়ে হঠাৎ লেঃ আজমীর সিং তাহাকে চাপিয়া ধরেন এবং তাহার নিকট হইতে বন্দুকটা ছিনাইয়া লইবার চেষ্টা করেন। লেঃ মজহর সিং তাঁহাকে (লেঃ আজমীর সিংকে) সাহায্য করেন এবং পাহারাওয়ালার হাত হইতে বলপূর্ব্বক বন্দুকটা ছিনাইয়া লইতে সমর্থ হন। পাহারাওয়ালা চিৎকার করিয়া উঠে কিন্তু অন্য পাহারাওয়ালা আসিয়া পৌঁছিবার পূর্ব্বেই লেঃ মজহর সিং, লেঃ আজমীর সিংকে গুলী করেন এবং তৎপর নিজের কপালে গুলী করেন। মাত্র কয়েক মিনিটের মধেই এই সমস্ত ঘটনা সংঘটিত হয় এবং উভয়েরই তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয়।
কম্যাণ্ডিং অফিসারের নিকট লিখিত তাহাদের একখানা চিঠি পাওয়া যায় তাহাতে লেখা ছিল:—
“আমরা সহজেই এই স্থান হইতে পলায়ন করিতে পারিতাম, তাহা আমরা সঙ্গত মনে করি নাই। আমাদের এই কাজ সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাপ্রণেণদিত এবং ইহার জন্য অপর কেহ দায়ী নয়। বিদায়! বিদায়।
দিল্লী দুর্গে অপর তিনজন নায়কের আত্মহত্যা—দিল্লী দুর্গে অবরুদ্ধ আজাদ হিন্দ ফৌজের তিনজন সেনা নায়ক কর্ত্তৃপক্ষের অসদাচরনের জন্য আত্মহত্যা করে। লাহোরের স্যার আবদুল কাদেরের পুত্র দিল্লী দুর্গে অন্যতম বন্দী ক্যাপ্টেন এহসান কাদেরকে মানসিক রোগের চিকিৎসাগারে স্থানান্তরিত করা হয়। সম্প্রতি তিনি মুক্তিলাভ করিয়াছেন।