পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪০
আজাদ হিন্দ ফৌজ

 ইহা ছাড়া বৈরাগড় যুদ্ধবন্দী শিবিরে দুইশত পঁচিশজন জাতীয় বাহিনী অফিসার ও সৈন্যকে বন্দী করিয়া রাখা হয়। তাহাদের ১৫নং ক্যাম্পের দুইটি ব্যারাকে তালা দিয়া আটকাইয়া রাখা হইত এবং বৃটিশ সৈন্য তাহাদের পাহারায় নিযুক্ত থাকিত। কোন ভারতীয়কে ইহাদের সঙ্গে দেখা করিতে দেওয়া হইত না এবং ইহাদের প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রও ইহাদিগকে নিয়মিত সরবরাহ করা হইত না।

 সরকারী বিবৃত্তির প্রতিবাদে ক্যাপ্টেন সেহগল—আজাদ হিন্দ ফৌজের কর্ম্মচারীদের আত্মহত্যা সম্পর্কে ভারত সরকার যে বিবৃতি দিয়াছেন, তাহার মধ্যে মানসিক যন্ত্রনা ও অপমানকর ব্যবহার সহ্য করিতে অক্ষম হওয়ায় লাল কেল্লায় সুবেদার জয়ন্ত সিং ও মূলতান ক্যাম্পে আরও একজনের অত্মহত্যা সম্পর্কে কিছুই বলা হয় নাই। ইহারা গত ১৯৪৫ সালের জানুয়ারী মাসে আত্মহত্যা করিয়াছিলেন।”

 ব্রহ্ম জাতীয় বাহিনীর বহুসংখ্যক সৈন্যই ব্রহ্ম পুলিশ, সামরিক ও অন্যান্য বিভাগ হইতে সংগ্রহ করা হইয়াছিল। সরকারী নীতির সমালোচনা করিয়া ক্যাপ্টেন সেহগল আরও বলেন, কেন্দ্রীয় পরিষদে সরকারী নীতি বলিয়া যাহা ব্যাখ্যা করা হইয়াছে তাহাই যদি ঠিক হয় তাহা হইলে আমি জানিতে চাই যে, আজাদ হিন্দ ফৌজের যে সমস্ত অসামরিক ব্যক্তি যোগ দিয়াছিল আজও তাহা দিগকে কেন কারাগারে আবদ্ধ করিয়া রাখা হইয়াছে?”

 ক্যাপ্টেন রসিদ আলি নিষ্ঠুরতার অপরাধে অপরাধী বলিয়া মিঃ ম্যাসন যে মন্তব্য করিয়াছেন সে সম্বন্ধে ক্যাঃ সেহগল বলেন, বৃটিশ সামরিক কর্ত্তৃপক্ষই বন্দী ভারতীয় সৈন্যগণের উপর নিষ্ঠুর ব্যবহারের জন্য দায়ী। সিঙ্গাপুর পতনের সময় বৃটিশ সরকারের পক্ষ হইতে লেঃ হাণ্ট এই সকল সৈন্যকে জাপ কর্ত্তৃপক্ষের হস্তে অর্পণ করেন। অপরপক্ষে লেঃ হাণ্টের উপস্থিতিতে জাপ সরকারের প্রতিনিধিরূপে মেজর ফুজিয়ারা এই সকল সৈন্য ও কর্ম্মচারীকে জেনারেল