পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২৪৫

গার্ডগণ তখন করিতে বাধ্য তাঁহাদিগকে উঠাইবার জন্য সঙ্গীনের খোঁচা ব্যবহার করে।

 কয়েকটি খোয়াড়ের বন্দীরা দেওয়ালী উৎসবের ন্যায় নির্দ্দিষ্ট সময়ের অধিক সময় বাতি জ্বালাইয়া রাখিয়া আজাদ হিন্দ ফৌজের অফিসারত্রয় ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ, ক্যাঃ ধীলন এবং ক্যাঃ সেহগলের মুক্তিতে আনন্দ প্রকাশ করে। কিন্তু এই সংবাদ পাইয়া গার্ডগণ আসিয়া পরে বাতি নিভাইয়া দেয়।

বাহাদুরগড় বন্দীশিবিরের বিবরণ

 বন্দীশিবিরের আয়তন ৪ বর্গমাইল। ইহা কতগুলি খোয়াড়ে বিভক্ত। প্রত্যেকটি খোয়াড় কাঁটা তারে ঘেরা। প্রথমে ইহাতে ২,৫০০, লোক ছিল। ১৯৪৫ সালের জুলাই মাসের শেষে সর্ব্বাপেক্ষা বেশী সংখ্যক বন্দীকে এখানে আনা হয়। ইহারা সকলেই সাধারণ শ্রেণীর। জার্ম্মানদের হাতে যে সকল ভারতীয় সৈন্য বন্দী হইয়াছিল, তাহাদের মধ্যে অনেক অফিসার ছিলেন। ইহাদের অধিকাংশকেই জার্ন্মানরা এল এলামিনে বন্দী করে। ইহারা বাহিনীর ভারতীয় শাখার অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং ইহাদের লইয়া ৯৫০ নং জার্ম্মান রেজিমেণ্ট গঠিত হইয়াছিল। আজাদ হিন্দ ফৌজের সহিত ইহার পার্থক্য এই যে আজাদ হিন্দ ফৌজ স্বাধীন বাহিনী রূপে লড়াই করিয়াছিল। শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসু উভয় বাহিনীর সৃষ্টিকর্ত্তা। জাপানে যাইবার পূর্ব্বে জার্ম্মানীতে থাকিবার সময় তিনি ভারতীয় জাতীয় বাহিনীর বীজ বপন করিয়াছিলেন। কিন্তু জার্ম্মানরা ভারতীয় সৈন্যগণকে তাহাদের পক্ষে যোগ দিবার জন্য কোন প্রকার কঠোরতা কিংবা অমানুবিকতা করে নাই।