পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২৪৭

উক্ত মেজরকে প্রহার করেন। উহার পরই বৃটিশ সিংহের “প্রেষ্টিজ” অতি মাত্রায় স্ফীত হইয়া উঠে এবং এবারে জনৈক বৃটিশ কর্ণেল আসিয়া কয়েকজন ভারতীয় অশ্বারোহী সৈন্যকে তলব করেন এবং পিঞ্জরস্থ বন্দীদের উপর বেয়নেট চার্জ্জ করিবার আদেশ প্রদান করেন। কিন্তু এবারও সৈন্যগণ বৃটিশ কর্ণেলের এই অন্যায় আদেশ পালন করিতে অসম্মত হয়। এবারে গুর্খা লইয়া পরীক্ষার পালা। কর্ণেল মনে করিয়াছিলেন আর সব ভারতীয় সৈন্য যাহাই করুক, গুর্খা সৈন্য যে কোন হুকুম তামিল করিবে তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু গুর্খারাও বেয়নেট চার্জ্জ করিতে অসম্মত হয়।

 কিন্তু ইহাতেও কর্ণেল নিরস্ত হইলেন না। পরদিন একটি শূন্য পিঞ্জরে ৩০০ বন্দীকে লইয়া গিয়া তাহাদিগকে দুইঘণ্টা পর্য্যন্ত হেঁট মুণ্ডে রাখা হয়। বন্দীগণ ইহার পর যখন অত্যন্ত ক্লান্ত হইয়া পড়েন তথন কতগুলি প্রহরী আনিয়া ক্লান্ত লোকদিগের উপর বেয়নেট চার্জ্জ করা হয়। ফলে ৩৪ জন জখম হয়। এক ব্যক্তির দেহের ৭ স্থানে জখম হইয়াছিল।

ব্রহ্মে বন্দী সৈনিকদের উপর অত্যাচার

 ১৯৪৫ সালের ২৮শে এপ্রিল তারিখে আজাদ হিন্দ ফৌজের কয়েকজন সৈন্যকে ব্রহ্মদেশের অন্তর্গত মাজনাওয়ে বন্দী করা হয়। তাহাদের সকলকেই একটি স্থানে একত্রিত করা হয় এবং তৎপর তাহাদের উপর আক্রমণ চালান হয়। ফলে তাহাদের মধ্যে চারিজনের তৎক্ষণাং মৃত্যু ঘটে এবং ত্রিশজন আহত হয়। ইহার পর ঐ দিন প্রায় বেলা ২টার সময় তাহাদিগকে একটি উন্মুক্ত স্থানে রাখা হয় এবং সারাদিন ও সারারাত্রি তাহাদিগকে কোন খাদ্য বা জল দেওয়া হয় না। পরদিন সকালে দশ মাইল পথ মার্চ্চ করাইয়া লইয়া যাওয়া হয়। সৈনিকেরা এই প্রকারে সড়কে গিয়া পৌঁছিলে সেখান হইতে তাহাদিগকে লরীতে করিয়া খাউনভীনে লইয়া