পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২১

রণাঙ্গনে বৃটিশ বাহিনী কর্তৃক ধৃত হইয়া পেগু জেলে নীত হন। ১৯৪৫ সালের জুন মাসের শেষভাগে তাঁহাকে ভারতবর্ষে আনিয়া কলিকাতাতে অবস্থিত বৃটিশ মিলিটারী হাজতে আটক রাখা হয়। ১৯৪৫ সালের ৫ই জুলাই তিনি দিল্লী পৌঁছেন। ৫ই জুলাই হইতে ১১ই আগষ্ট পর্যন্ত তিনি কোথায় আছেন, এ সম্পর্কে কোন খবরই পাওয়া যায় না। ১১ই জুলাই ভারত গবর্নমেণ্টের য়্যাডজুট্যাণ্ট জেনারেলের নিকট হইতে প্রাপ্ত একটি পত্র হইতেই তাঁহার সম্পর্কে তাঁহার পরিবারবর্গ প্রথম খবর পান। পত্রে উল্লিখিত হয় যে, ক্যাপ্টেন গুরুবক্স সিংকে খুঁজিয়া পাওয়া গিয়াছে এবং তাঁহাকে প্রশ্ন করা ও তাঁহার অনুসন্ধানাদির কাজ কয়েক সপ্তাহব্যাপী চলিবে। ঐ সময়ের মধ্যে তাঁহার সম্পর্কে কোনরূপ অনুসন্ধান বা তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ ইত্যাদি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হয়। সেপ্টেম্বর মাসে তাঁহার পিতা গুরুবক্স সিংয়ের নিকট হইতে এই মর্মে একটি ‘তার’ পান—‘দয়া করিয়া সত্বর দিল্লী লালকেল্লায়’ আমার সহিত সাক্ষাৎ করুন। ভালই আছি। মাতাঠাকুরাণীকে আমার ভালবাসা জানাইবেন।

 ক্যাপ্টেন ধীলন বিবাহিত, কিন্তু তাঁহার কোন সন্তানাদি নাই। তাঁহার পিতা পশু-চিকিৎসক হিসাবে সেনাবাহিনীতে ২২ বৎসর কাজ করিবার পর বর্তমানে অবসর গ্রহণ করিয়াছেন। তিনি এখন লাহোরের আলগাঁওতে বিশ্রাম-জীবন যাপন করিতেছেন। তাঁহার আরও দুই ভাই সেনাবাহিনীতে কাজ করিতেছেন এবং চতুর্থ ভ্রাতা ডেপুটি-ফরেষ্ট রেঞ্জারের পদে নিযুক্ত আছেন।