পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
আজাদ হিন্দ ফৌজ

কালাতিপাত করিতেছেন। ইঁহাদিগকে সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হইয়াছে। প্রথমোক্ত দুইজনের বিরুদ্ধে সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করায় সহায়তা করার, হত্যা করার এবং একটি দণ্ডে ঝুলাইয়া রাখিয়া দুইজন নন্-কমিশণ্ড অফিসারকে গুরুতর আঘাত করার এবং তাঁহাদিগকে ছড়ি দ্বারা আঘাত করার অভিযোগও আনা হইয়াছে। ইঁহাদের প্রায় প্রত্যেককেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৭ নং এবং ৩২০ নং ধারা অনুসারে ও সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য লোককে বাধ্য করিবার উদ্দেশ্যে গুরুতর আঘাত বা আঘাত করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হইয়াছে।

 মেজর জেনারেল ব্লাক্‌স্‌ল্যাণ্ড এবং সামরিক আদালতের অন্যান্য সদস্য নির্দ্ধারিত দিবসে প্রাতে ১০-১৫ মিনিটে আসন গ্রহণ করেন। কোর্টের বাম দিকে আসামী পক্ষের কৌঁসুলীগণের আসন। কৌঁসুলীগণ নিম্নলিখিত পর্যায়ে আসন গ্রহণ করেন। প্রথমে কুনোয়ার স্যার দলীপ সিং, তারপর ব্যারিষ্টারের পোষাক-পরিহিত পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু (২২ বৎসর পরে পণ্ডিত নেহরু এই প্রথম ব্যারিষ্টারের পোষাক পরিলেন), তারপর স্যার তেজ বাহাদুর সপ্রু, শ্রীযুক্ত ভুলাভাই দেশাই, মিঃ আসফ আলী এবং ডাঃ কে এন কাটজু। তাঁহাদের পশ্চাতের সারিতে ডাঃ পি কে সেন এবং অন্যান্য কৌঁসুলী উপবেশন করেন। তাঁহাদের ঠিক বিপরীত দিকে এডভোকেট জেনারেল স্যার এন পি ইঞ্জিনিয়ার এবং মিলিটারী প্রসিকিউটার লেঃ কর্ণেল ওয়ালস উপবিষ্ট হন।

 আদালত বসিবার পর সংবাদপত্রের ফটোগ্রাফারগণ ফটো গ্রহণ করেন। সেজন্য কিছু সময় অতিবাহিত হয়। তার পর জজ-এডভোকেট কর্ণেল এফ সি এ ক্রীন, কোর্টের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন যে, আর ফটো লইতে দেওয়া হইবে না এবং কোর্ট গৃহে ধূমপান নিষিদ্ধ।

 কোর্ট গঠন সংক্রান্ত আদেশ পঠিত হইবার পর, জজ-এডভোকেট আসামী-