পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৩১

মাতা ও ভগ্নী সেহগলকে আলিঙ্গনবদ্ধ করেন। ধীলনের পত্নী স্বামীর সহিত মিলিত হন। সেগলের পিতা মিঃ অছশ্রুরাম সেহগলের সহিত করমর্দন করেন।

 আদালতের অধিবেশন পুনরায় আরম্ভ হইলে প্রেসিডেণ্ট ঘোষণা করেন যে, এ্যাডভোকেট জেনারেল উদ্বোধন বক্তৃতা শ্রবণ এবং ফরিয়াদী পক্ষের প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর শুনানী মূলতুরী রাখিবার আবেদন মঞ্জুর করিতে আদালত সম্মত আছেন। যাহা হউক, শুনানী কতদিন মূলতুবী রাখা হইবে সে সম্বন্ধে আদালত পরে বিবেচনা করিবেন।

 মামলা আরম্ভের দিন দিল্লী পুলিশ লালকেল্লায় যাইবার সমস্ত পথ রোধ করিয়া রাখে। কেল্লায় এবং আদালত গৃহে, প্রবেশর পথ বৃটিশ সামরিক পুলিশ কর্ত্তৃত রক্ষিত ছিল। এতদ্ব্যতীত নিকটস্থ তাঁবুতে অতিরিক্ত পুলিশ রিজার্ভ রাখা হইয়াছিল।

 আদালতে প্রবেশকারীদিগকে কড়াকড়ি ভাবে পরীক্ষা করা হয়। সংবাদপত্রের সংবাদদাতা ও সাধারণ লোকদিগকে ছয় স্থানে পরীক্ষা করিবার পর আদালতে প্রবেশ করিতে দেওয়া হয়। কাহারও পক্ষে ছাতা কিংবা ছড়ি লইয়া আদালতে প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়ায়, এক বৃদ্ধ ব্যক্তি তিনি সিঁড়ি উঠিলে তাঁহাকে তাঁহার ছড়ি সমর্পণ করিতে অনুরোধ করা হয়। দোতালায় আদালত কক্ষে গমনেচ্ছু ব্যক্তিদিগকে নীচে সঙ্কীর্ণ সিঁডির মুখে পর্য্যায়ক্রমে দণ্ডায়মান থাকিতে হইয়াছিল।

 সামরিক আদালতের কর্ম্মচারিগণ সংবাদপত্রের সংবাদদাতাগণ এবং সাধারণ লোককে প্রধান প্রবেশ পথ দিয়া আদালত কক্ষে প্রবেশ করিতে দেওয়া হয়। আসামী তিনজনকে পিছনের প্রবেশ পথ দিয়া আদালতে আনা হয়। বাছাই করা সামরিক প্রহরিগন ব্যতীত অপর সকলের পক্ষে ঐ পথ বন্ধ। আদালত গৃহের পিছনের দিক এবং আদালত কক্ষে প্রবেশের সিঁড়ি কাঁটা তারের বেড়া দিয়া ঘেরা ছিল।