পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
আজাদ হিন্দ ফৌজ

গান্ধী গেরিলা রেজিমেণ্ট, আজাদ গেরিলা রেজিমেণ্ট ও নেহ্‌রু রেজিমেণ্ট লইয়া গঠিত ছিল।

 শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসুর সিঙ্গাপুরে আগমনের ২।৩ মাস পর ১৯৪৩ সালের নবেম্বর মাসের সমসময়ে আরও একটি গেরিলা রেজিমেণ্ট গঠিত হয়। শাহ নওয়াজ খাঁন ইহার সেনাপতি নিযুক্ত হন। অপর তিনটি রেজিমেণ্ট—গান্ধী-নেহরু ও আজাদ রেজিমেণ্ট একটি ডিভিশনে পরিণত হয়। পরে আরও দুইটি ডিভিশন গঠিত হয়। একটি ভারতীয় যুদ্ধবন্দীদের লইয়া ও অন্যটি সম্পূর্ণতঃ অসামরিক লোকদের লইয়া। এই অসামরিক লোকদের অধিকাংশই মালয়ের ভারতীয় স্বাধীনতা লীগ দ্বার সংগৃহীত হইয়াছিল।

 ১৯৪২ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী সিঙ্গাপুর জাপানীদের নিকট আত্মসমর্পণ করে। ১৭ই ফেব্রুয়ারী বহুসংখ্যক যুদ্ধবন্দীকে সিঙ্গাপুরের ফায়ার পার্কে মার্চ করাইয়া লইয়া যাওয়া হয়। ইহাদের মধ্যে ১।১৪ ও ৫।১২ পাঞ্জাব রেজিমেণ্ট ছিল। ক্যাপ্টেন এম জেড কিয়ানী (ইনি পরে আজাদ হিন্দ ফৌজের জি ও সি হইয়াছিলেন) ইঁহাদের নেতৃত্ব করিয়াছিলেন। মেজর ফালওয়ারা নামক জনৈক জাপানী অফিসার সমবেত অফিসার ও সৈন্যদের সমক্ষে বক্তৃতা করেন।

 অতঃপর এডভোকেট জেনারেল বলেন যে, জাপানী গভর্ণমেণ্ট ভারতীয় সৈন্যদিগকে জাপানীদের পক্ষে আনয়নের জন্য ফুজিওয়ারাকে নিযুক্ত করিয়াছিলেন। তাঁহার সহিত কয়েকজন ভারতীয় অফিসারও ছিলেন। ১।১৪ পাঞ্জাব রেজিমেণ্টের ক্যাপ্টেন মোহন সিং এই সকল ভারতীয় অফিসারদের অন্যতম। তিনি বলেন,—“আমরা একটি ভারতীয় জাতীয় বাহিনী গঠন করিতে যাইতেছি। আমরা ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করিব। আপনাদে র সকলেরই ইহাতে যোগদান করা কর্তব্য।”

 ১৯৪২ সালের ১লা সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠা হয়।