পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৩৭

হিন্দ্ ফৌজে যোগ দিয়াছিলেন, তাঁহারা তাহাদের ব্যাজ ফিরাইয়া দেন: কিন্তু হেডকোয়ার্টারে কোন কোন অফিসার ব্যাজ রাখেন। ব্যবস্থা কমিটির বিশেষ চেষ্টা সত্ত্বেও মোহনসিংকে কারারুদ্ধ করা হয়। ইহার পর আজাদ হিন্দ ফৌজের অধিকাংশ অফিসারই ইহার সঙ্গে যুক্ত থাকিতে অসম্মত হন। ১৯৪৩ সালের নভেম্বর মাসে ভারতীয় সৈনিক কর্ম্মচারীদের এক সভা হয়। ব্যবস্থা কমিটি এই সভা আহ্বান করেন এবং তাঁহাদের নিকট কতকগুলি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়।

 একটি প্রশ্ন—আপনি আজাদ হিন্দ্ ফৌজে থাকিতে চান কি না? যাঁহারা অসম্মতি জ্ঞাপন করেন, তাঁহাদিগকে ১৩ই ফেব্রুয়ারী শ্রীযুত রাসবিহারী বসুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে বলা হয়। কিন্তু তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিবার পূর্বেই তাগদিগকে এক মুদ্রিত পুস্তিকা দেওয়া হয়। ইণ্ডিয়ান ইণ্ডিপেণ্ডেন্স লীগের প্রেসিডেণ্টরূপে শ্রীযুত রাসবিহারী বসুই ইহা প্রচার করেন। এই পুস্তিকায় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে এই কথা ছিল— আপনারা সকলেই জানেন, বৃটেনের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা-সংগ্রাম এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছিয়াছে। বৃটিশকে ভারত ত্যাগে বাধ্য করিবার জন্য মহাত্মা গান্ধী অনশন আরম্ভ করিয়াছেন। সুতরাং বর্তমান মীমাংসার কোন আশা নাই। আমাদের কর্তব্য এখন সুস্পষ্ট। যাঁহারা আজাদ হিন্দ ফৌজ ত্যাগ করিয়াছেন, তাঁহাদের কি হইবে, আপনারা জানিবার জন্য ব্যগ্র—কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় ইঁহাদের ব্যাপারে আমার কোন হাত থাকিবে না। জাপানীদের পক্ষে আমি কোন কথা বলিতে পারি না। তাঁহারা যাঁহাদের বন্দী তাঁহারা তাঁহাদের লইয়া কি করিতে চান, আমি বলিতে পারি না। যে সকল অফিসার তাঁহাদের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে পুনর্বিবেচনা করিতে সম্মত নহেন, আজ ১১-৩০ মিনিটে আমাব সাক্ষাতে উপস্থিত হইয়া কারণ দর্শাইবেন। আমি তাঁহাদিগকে পৃথক করিতে চাই।