পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
আজাদ হিন্দ ফৌজ

 ১৯৪৩ সনের জানুয়ারী মাসের পরে আজাদ হিন্দ ফৌজে আবার লোক সংগ্রহ আরম্ভ হয় এবং অনেক যুদ্ধবন্দী ইহাতে যোগদান করেন এবং অনেককে যোগদানে বাধ্য করা হয়।

 ১৯৪৩ সনের জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী মাসে ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ পোর্ট ডিক্সনে ছিলেন। তিনি যুদ্ধবন্দী অফিসারদের নিকট বক্তৃতা দেন তিনি বলেন, ক্যাপ্টেন মোহনসিংএর আজাদ হিন্দ ফৌজ ভাঙ্গিয়া দেওয়া হইয়াছে এবং অন্য একটি আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠিত হইতেছে। তিনি বলেন, আমাদের উপর এখানে দুর্ব্যবহার করা হইতেছে; কিন্তু আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দিলে আমাদের উপর যথাযোগ্য ব্যবহার করা হইবে এবং খাদ্য পাইব। তিনি এই কথা যুদ্ধবন্দীদের জানাইতে বলেন এবং সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রধান কেন্দ্রে পাঠাইয়া দিবার জন্য ক্যাম্প কমাণ্ডাণ্টের নিকট একটি সেচ্ছাসেবক তালিকা দিতে বলেন; কিন্তু কেহই নাম দেয় না।

 ১৯৪৩ সালের এপ্রিল মাসে পোর্ট সুইটেনহামে শাহ নওয়াজ আর বুদ্ধবন্দীদের কুচকাওয়াজের সময় তিনি একটি বক্তৃতা করেন। বৃটিশকে ভারত হইতে বিতাড়িত করিবার জন্য তিনি সকলকে সেচ্ছাসেবক শ্রেণীভুক্ত হইতে বলেন। তিনি বলেন, আজাদ হিন্দ ফৌজে তাঁহারা হাত খরচা বাবদ সামান্য কিছু পাইবেন। কিন্তু ভারতে স্বাধীনতা অর্জিত হইলে তাঁহাদের বেতন পুরাতন হার অনুযায়ী হইবে। কিন্তু এবারে কেহ নাম দেয় না।

 লেঃ ধীলনও অনুরূপ প্রচেষ্টায় রত হন। এক সভায় মেজর ধারা তাঁহার সঙ্গে ছিলেন। মেজর ধারা প্রথমে বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, ভারতের মুক্তি সংগ্রামের জন্যই আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠিত হইয়াছে। ভারতে পৌঁছিয়া জাপানীগণ যদি কোনরূপ অসৎ নীতি অবলম্বন করেন,