পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৩৯

তাঁহারা তাঁহাদের সঙ্গেও যুদ্ধ করিবেন। ভারত তখন জাপানের বিরুদ্ধেও অস্ত্র ধারণ করিবে।

লেপ্টেন্যাণ্ট ধীলন

 এক বিদ্রোহী যুদ্ধবন্দী শিবিরে বক্তৃতা উপলক্ষে লেপ্টেন্যাণ্ট ধীলন বলেন, সিঙ্গাপুরে ও জিন্দ্রায় সমস্ত ভারতীয় যুদ্ধরন্দী স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হইয়া আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দিয়াছেন আজাদ হিন্দ ফৌজ ভারত হইতে ইংরাজকে বিতাড়িত করিবে। যদি তাহারা ইহাতে সফল না হন, তাহাদের ভয়ের কিছুই নাই। উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের উপরই সমস্ত দোষ পড়িবে। অন্য কাহারও শাস্তি হইবে না।

 স্যার এন পি ইঞ্জিনিয়ার বলেন, আসামীগণ যাহা করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন, তাহার ফলাফল বিচার করিতে গিয়া তৎকালীন অবস্থা বিচার করিতে হইবে। মালয় ও সিঙ্গাপুরে বৃটিশ বাহিনী পরাজয় মানিয়া লইয়াছে। বন্দীশিবিরে যুদ্ধবন্দীদের প্রতি ব্যবহার পূর্বেই বলা হইয়াছে। ভারতীর সৈন্যগণ বিনা বিচারে তাহাদের অফিসারের নির্দেশ মানিয়া লইতে অভ্যস্ত। আসামীগণ আজাদ হিন্দ ফৌজের জন্য লোক সংগ্রহ করিতেছিলেন। তাঁহারা অপেক্ষাকৃত ভাল ব্যবহারের প্রলোভন দেখাইয়াছেন এবং প্রচ্ছন্ন ভয়ও দেখাইয়াছেন। আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ না দিবার ফল ছিল অনশন ও অত্যাচার। এই অবস্থায় ভারতীয় বাহিনীর বহু সৈন্য আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দিয়াছেন তাহা বিচিত্র নহে।

 আসামীগণ আজাদ হিন্দ ফৌজের জন্য লোক সংগ্রহ করিয়াছেন, আজাদ হিন্দ ফৌজ প্রতিষ্ঠানের সংগঠনে অংশ গ্রহণ করিয়াছেন বৃটিশ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে নির্দেশ দিয়াছেন ও ব্যবস্থা করিয়াছেন এবং নিজেরাও যুদ্ধ করিয়াছেন। এই কার্য্য তাঁহারা পূর্বকল্পিত পরিকল্পনা অনুযায়ী করিয়াছেন।