পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০
আজাদ হিন্দ ফৌজ

 জাপানীরা যে সমস্ত বৃটিশ অস্ত্রশস্ত্র দখল করিয়াছিল নিজেদের ট্রেণিং ও সংগ্রামে ইঁহারা তাহাই ব্যবহার করিয়াছিলেন। ইঁহাদের পরিধানে ভারতীয় সৈনিক ও অফিসারের পোষাকই ছিল। ইহা ভিন্ন তাঁহারা আজাদ হিন্দ ফৌজের ব্যাজ ব্যবহার করিতেন।

 লেপ্টন্যাণ্ট নাগকে ১৯৪২ সনে আজাদ হিন্দ ফৌজ অ্যাক্ট গঠন করিতে বলা হয় এবং তিনি উহা করেন। লেপ্টন্যাণ্ট নাগও আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দিয়াছিলেন। ভারতীয় সৈন্যবাহিনী-আইন অনুযায়ী এই আইন গঠিত হইয়াছে। কিন্তু ইহাতে শাস্তি হিসাবে বেত মারা একটি ধারা আছে। প্রতি সপ্তাহে ৬টি এবং সর্বসমেত ২৪টি বেতের বেশী নয়। ১৯৪৩ সালের জুন মাসে স্থির হয় যে সৈন্যবাহিনীর কম্যাণ্ডার এবং মিলিটারী ব্যুরোর ডিরেক্টরগণ সৈন্য ও ননকমিশনড্ অফিসারের শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে বেত মারিতে পারিবেন।

 ১৯৪৩ সালের জানুয়ারী মাসে প্রথমতঃ যুদ্ধবন্দীদের আভ্যন্তরিক ব্যবস্থার জন্যই ‘ব্যবস্থা কমিটি’ গঠিত হয়। এই ব্যবস্থা কমিটিই প্রচারকার্য্য চালাইত। ১৯৪৩ সালের মধ্যভাগে ‘ডিরেক্টরেট অব মিলিটারী ব্যুরো’ গঠিত হয়। সেহগল ছিলেন মিলিটারী সেক্রেটারী এবং শাহ নওয়াজ—চীফ্ অফ দি জেনারেল ষ্টাফ।

 ১৯৪৩ সালের ২১শে অক্টোবর সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ ফৌজের এবং অসামরিক জনসাধারণের এক সাধারণ সভা হয়। শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসু এই সভায় বক্তৃতা করেন। তিনি অস্থায়ী স্বাধীন ভারত গভর্ণমেণ্ট প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করেন। ইঁহারা, আজাদ হিন্দ ফৌজ যে সকল অঞ্চল দখল করিয়াছেন, তাহা শাসন করিবেন। তিনি মন্ত্রিদের নামও ঘোষণা করেন। ইহার মধ্যে শাহ নওয়াজও আছেন। ১৯৪৪ সালের ৩০শে নভেম্বর অস্থায়ী গবর্ণমেণ্টের একটি যুদ্ধ সমিতি গঠিত হয়। ক্যাপ্টেন সেহ্‌গলের মারফৎ