পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৪১

ইহার একটি ঘোষণাপত্র প্রচার করিবার জন্য লেপ্টন্যাণ্ট নাগকে দেওয়া হয়।

 ১৯৪৫ সালের মার্চ মাসের দিকে আজাদ হিন্দ ফৌজের বহু সৈন্য ও অফিসার বৃটিশ বাহিনীতে যোগ দিতে থাকে। ইহা নিবারণ করিবার জন্য শ্রীসুভাষচন্দ্র বসু এই মর্মে এক নির্দেশনামা জারী করেন যে, আজাদ হিন্দ ফৌজের কোন সৈন্য বা অফিসার ভীরুর ন্যায় ব্যবহার করিলে অন্য সৈন্যগণ তাঁহাকে বন্দী করিতে পারিবেন এবং বিশ্বাসঘাতকতা করিলে গুলী করিতে পারিবেন।

 এডভোকেট-জেনারেল বলেন, এই মামলায় মৌখিক সাক্ষ্য ও দলিলপত্রের প্রমাণ উপস্থিত করা হইবে। বিভিন্ন সময়ে ব্রহ্মদেশে বৃটিশ বাহিনীর হাতে বহু দলিলপত্র আসিয়াছে। এই সমস্ত যথাযোগ্য স্থানে প্রেরণ করা হইয়াছে এবং পরে দিল্লী হেডকোয়ার্টারে আসিয়াছে। এই সকল দলিলে আসামীগণের সাক্ষর আছে।

 এই সকল দলিলপত্রের মধ্যে ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজের সাক্ষরিত একখানি চিঠি আছে। ব্রহ্মদেশে আজাদ হিন্দ ফৌজের ব্যবস্থা সম্পর্কে ১৯৪৩ সালের আগষ্ট মাসে প্রথম ডিভিসন আজাদ হিন্দ ফৌজের হেডকোয়ার্টারে লিখিত এই পত্র। পত্রের তারিখ ৮ আগষ্ট ‘৪৩ (জপানী বৎসর 2603)।

 এই পত্রে বলা হইয়াছে যে, ভারত-ব্রহ্ম সীমান্তে যখন আক্রমণ সুরু হইবে, কিছু ভারতীয় সৈন্য তাহাদের দলে যোগ দিবে এবং অন্য একদলকে আত্মসমর্পণ করিতে বাধ্য করা হইবে। ভাষার অসুবিধার জন্য জাপ অগ্রগামী দল এই দুই শ্রেণীর ভিতরে পার্থক্য করিতে পারে না। প্রচারে ও সুবিধার জন্য এই সকল লোকের প্রতি ব্যবহার সম্পর্কে তাহাদিগকে সতর্ক হইতে হইবে। ইহাদিগকে তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করিতে হইবে।

 (১) সমস্ত ঘটনা জ্ঞাত হইয়া যাঁহারা তাঁহাদের সঙ্গে যোগ দিতে আসিয়াছেন,