পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৪৫

বক্তৃতা করেন। ক্যাপ্টেন সেহগল ও কাপ্টেন ধীলনকে যুদ্ধ আরম্ভের নির্দেশ দেন। ঐ দিনের ডায়েরীতে আরও প্রকাশ, রাজ, মদন, সারওয়ার এবং দে’র দলত্যাগের সংবাদ তিনি পান। ইহা অত্যন্তই দুঃখের ব্যাপার।

১৮ই এপ্রিল—বৃটিশরা তাউছুইঙ্গলি দখল করিয়াছে। জাপানীরা এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের লোকেরা পুনরাক্রমণ করিতেছে। ১৯শে এপ্রিল—বৃটিশ ট্যাঙ্ক বহর মাগউইয়ে ব্যুহ ভেদ করিয়াছে। সঙ্ঘবদ্ধভাবে বাধা দান করা হইবে না।

 ৫ই মে ১৯৪৫ জাপানীদের আর আজাদ হিন্দ ফৌজের কোন প্রয়োজন নাই। প্রোমের অফিসার প্রভৃতিকে সরাইয়া লওয়া হইতেছে। ফৌজের মধ্যে শৃঙ্খলা হ্রাস পাইয়াছে। নৈতিক দৃঢ়তাও কমিয়া গিয়াছে— নিরুৎসাহ হইয়া পড়িয়াছে। ১৩ই মে, ১৯৪৫ —বৃটিশদের সম্পর্কে সমস্ত সংবাদ পাইয়াছি। মনে হইতেছে আমরা সম্পূর্ণরূপে বিছিন্ন হইয়া পড়িয়াছি। সরিয়া পড়ারও কোন উপায় নাই। সন্ধ্যা ৭ টায় গ্রামটি পরিত্যাগ করিয়া জঙ্গল অভিমুখে যাত্রা করিলাম। তথায় বাহিনীর লোকদের সমস্ত সংবাদ দিলাম। অধিকাংশ লোকই যুদ্ধ বন্দী হইবেন বলিয়া স্থির করিলেন।

শাহ নওয়াজের ডায়েরীর শেষ দিন

 ১৯৪৫ সালের ১৭ই মে তারিখেই শাহ নওয়াজের শেষ ডায়েরী লেখা। ঐদিনকার ডায়েরী তিনি লিখিয়াছেন—প্রায় মধ্যরাত্রে একটি গ্রামে প্রবেশ করিবার সময়ে ২।১ পাঞ্জাব রেজিমেণ্টের লোকেরা ১৫ গজ দূর হইতে প্রচণ্ডভাবে গুলীবর্ষণ করিতে থাকে। অসামরিক পথপ্রদর্শক মৃত্যুমুখে পতিত হইলেন। আমার ব্যাগটি হারাইয়া ফেলি। একটি জঙ্গলে সমস্ত রাত্রি অতিবাহিত করিলাম। বেলা আটটার সময়ে পুনরায় রওনা হইলাম। কিন্তু দেখিলাম চারিদিকে রাস্তা অবরুদ্ধ। প্রায় সন্ধ্যা ৬টায় ২।১ নং পাঞ্জাব