পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৪৭

আসে নাই। নিশ্চয়ই তাহারা শত্রু পক্ষে যোগ দিয়াছে—কি বিশ্বাসঘাতক। এখন হইতে আমাকে সম্পূর্ণ নির্দয় হইতে হইবে। আমি এই মর্মে নির্দেশ জারী করিয়াছি যে, কাহারও গতিবিধি সন্দেহজনক হইলেই তাহাকে গুলি করিয়া মারিয়া ফেলিতে হইবে। ১৯শে মার্চ, ১৯৪৫—ধীলনের সংবাদ পাওয়া গিয়াছে। তাঁহার অনুগামীরা বীরত্বের সহিত অগ্রসর হইতেছেন। তাঁহারা একটি পর্বত তিনবার আক্রমণ করিয়া দখল করিয়াছেন এবং প্রায় তিনশত শত্রুকে মারিয়া ফেলিয়াছেন। তাঁহারও যথেষ্ট ক্ষতি হইয়াছে।

কাপ্টেন সেহ্‌গলের ডায়েরীর শেষ দিন

 ১৯৪৫ সালের ২৮শে মার্চ তারিখে ক্যাপ্টেন সেহগল শেষবারের মতন ডায়েরী লেখেন। উহা এইরূপ—ওয়েলঞ্জ সেকসন রোড রক্ষার জন্য আমি কেবল একটি বাহিনী মোতায়েন রাখিব। অবশিষ্ট সৈন্যরা ধীলন না আসিয়া পৌঁছান পর্য্যন্ত পোপোয়ায়া অঞ্চলেই থাকিবে। আশা করিতেছি আমি তাঁহাদের সহিত আবার মিলিত হইতে পারিব।” ক্যাপ্টেন সেহ্‌গল ২৮শে এপ্রিল আত্মসমর্পণ করেন।

 অভিযুক্তরা সর্বশেষ যুদ্ধ করেন, কায়াক পদাউঙ্গের উপকণ্ঠে এবং পোপা অঞ্চলে। অভিযুক্তরা সকলেই সেই সময়ে ঐ অঞ্চলে ছিলেন। তাঁহারা নিজেরাই যুদ্ধ করিতেছিলেন।

 অতঃপর এডভোকেট জেনারেল অফিসারগণ যে কয়েকটি ছোট খাট ব্যাপারের সহিত জড়িত ছিলেন সে সম্পর্কে বিস্তৃত বিবরণ দেন।

 হত্যার অভিযোগ সম্পর্কে বলিতে গিয়া এডভোকেট জেনারেল বলেন যে, লেঃ ধীলন চারজন সিপাহিকে হত্যা করার অভিযোগে অভিযুক্ত হইয়াছেন এবং ক্যাপ্টেন সেহ্‌গল প্ররোচিত করার অভিযোগে অভিযুক্ত হইয়াছেন।