পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৮
আজাদ হিন্দ ফৌজ

এই ৪ ব্যক্তি আজাদ হিন্দ ফৌজের সিপাহি ছিল। পূর্বে ইহারা ভারতীয় সেনা বাহিনীর অধীনে কাজ করিত। এই ৪ জনকে হত্যা করিবার নির্দেশ দেন ক্যাপ্টেন সেহ্‌গল এবং লেঃ ধীলন ৬ই মার্চ তারিখে ইহাদের গুলী করিয়া মারেন। ইহা প্রমাণ করিবার মতন উপযুক্ত দলিলপত্র আছে। কিন্তু এখন মৌখিকভাবে প্রমাণ করা হইতেছে। ১৯৪৫ সালের ৬ই মার্চ তারিখে, ৪ ব্যক্তিকে হাত পিছনের দিকে বাঁধিয়া একটী খানার নিকট লইয়া যাওয়া হয় এবং তাহার ভিতর তাহাদের বসিতে বলা হয়। লেঃ ধীলন একটি বক্তৃতা করেন, তিনি বলেন যে, এই খানার ভিতর যে কয় ব্যক্তি রসিয়া রহিয়াছে তাহারা পালাইয়া গিয়া বৃটিশদের সহিত যোগ দিবার চেষ্টা করিয়াছিল। কিন্তু টহলদার বাহিনী তাহাদের ধরিয়া ফেলেন। এই কারণে ইহাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হইয়াছে। অতঃপর লেঃ ধীলন ইহাদের গুলী করার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের আহ্বান করেন। হিদায়েতুল্লা কানুরাম এবং শের সিং নামক তিন ব্যক্তি আগাইয়া আসেন হিদায়েতুল্লা এবং কানুরামের হাতে বন্দুক এবং শের সিংএর হাতে পিস্তল ছিল। তারপর লেঃ ধীলন খানা হইতে ১ম ব্যক্তিকে ডাকেন। তিনি একটা ক্ষুদ্র বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন যে, বৃটিশ কর্ত্তৃপক্ষের সহিত যোগদানের জন্য যখন এই ব্যক্তি চেষ্টা করিতেছিল, সেই সময়ে ইহাকে ধরিয়া ফেলা হয়। এইজন্যই ইহাকে গুলী করা হইতেছে।

 লোকটি বলে যে তাহার একটি অনুরোধ আছে। লেঃ ধীলন বলেন যে, কোন অনুরোধেই কর্ণপাত করা হইবে না। অতঃপর তিনি গুলী চালাইবার আদেশ দেন এবং তদনুসারে তাহাদের উপর গুলীবর্ষিত হয়। চারিজনেই মাটিতে পড়িয়া যায়। কিন্তু তখনও তাহাদের প্রাণবায়ু বহির্গত হয় নাই। লেঃ ধীলন শের সিংকে তাহার পিস্তল দ্বারা ইহাদের প্রত্যেককে গুণী করিবার আদেশ দেন। শের সিং আদেশ পালন করে। ইহার পর মৃতদেহগুলিকে পরিখার ভিতর গোর দেওয়া হয়।