পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৪
আজাদ হিন্দ ফৌজ

ভিন্ন রকমের প্রতিষ্ঠান হইয়া উঠিয়াছে আসামী ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ খান উহার চীফ্ অব্ জেনারেল ষ্টাফ ও আসামী ক্যাপ্টেন সেগল উহার মিলিটারী সেক্রেটারী হইয়াছেন সাক্ষী অতঃপর বলেন যে ১৯৪৩ সালের জুলাই মাসে সুভাষচন্দ্র বসু সিঙ্গাপুর আসেন এবং ভারতীয় জাতীয় বাহিনী ও ভারতীয় স্বাধীনতা লীগের পূর্ণ কর্তৃত্ব আপন হাতে গ্রহণ করেন।


সৈন্যদের প্রতি সুভাষচন্দ্রের প্রথম ঘোষণা

 সর্বাধিনায়কত্ব গ্রহণ করিয়া সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতি এক ঘোষণায় বলেন: “ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের স্বার্থে আজ হইতে আমি আমাদের সৈন্যদের প্রত্যক্ষ পরিচালনা ভার গ্রহণ করিয়াছি। আমার পক্ষে ইহা আনন্দ ও গৌরবের ব্যাপার। ভারতের মুক্তিফৌজের সেনাপতি হইবার সম্মান অপেক্ষা বড় কোন সম্মান ভারতবাসীর পক্ষে থাকিতে পারে না। যে কার্য্যভার আমি গ্রহণ করিয়াছি, উহার বিপুলতা সম্পর্কে আমি সজাগ আছি। অবস্থা যতই কঠোর হউক না কেন, কর্ত্তব্য সাধনের ক্ষমতা যেন ভগবান আমাকে দেন। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ৩৮ কোটি মানুষের সেবক বলিয়া আমি নিজেকে মনে করি। ৩৮ কোটি নরনারীর স্বার্থ যাহাতে আমার হাতে নিরাপদ থাকে এবং মাতৃভূমির আসন্ন মুক্তিসংগ্রামে স্বাধীন ভারতের গবর্ণমেণ্ট প্রতিষ্ঠার ও ভারতের স্বাধীনতা সংরক্ষণে নিযুক্ত স্থায়ী সৈন্যদল গঠনে যাহাতে প্রত্যেক ভারতবাসী আমার উপর পূর্ণ আস্থা রাখিতে পারেন, সেভাবেই আমি কাজ করিয়া যাইব। আজাদ হিন্দ ফৌজের সম্মুখে এক বৃহৎ কর্তব্য রহিয়াছে। এ কর্তব্য সাধনে আমরা এমন এক সৈন্যদল গড়িয়া তুলিব যাহার একটি মাত্র আদর্শ থাকিবে এবং সে আদর্শ হইবে—ভারতের স্বাধীনতা লাভ।