পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৫৫

“স্বাধীনতা লাভের জন্য কর্তব্য সাধন বা মৃত্যুবরণ”—এই একটি মাত্র লক্ষ্য আমাদের থাকিবে। পৃথিবীর সমগ্র মানব সমাজের এক-পঞ্চমাংশ লোকের নিশ্চয়ই স্বাধীনতা লাভের ন্যায়সঙ্গত অধিকার রবিয়াছে। সহকর্মিগণ! অফিসার এবং সৈন্যগণ! আপনাদের অবিচল আনুগত্য ও পূর্ণ সমর্থন প্রাপ্ত আজাদ হিন্দ ফৌজ ভারতের মুক্তি সম্ভব করিয়া তুলিবে। আমরা নিশ্চয়ই জয়ী হইব।”

 দিল্লী চলো” ধ্বনি দ্বারা এই ঘোষনার উপসংহার করা হয় এবং সঙ্কল্প ব্যক্ত করা হয় যে, বড়লাট প্রসাদে ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করা হইবে এবং পুরাতন লালকেল্লায় বিজয় উৎসব অনুষ্ঠিত হইবে।


শ্রীযুত সুভাষচন্দ্রের তার

 আজাদ হিন্দ গবর্ণমেণ্টের সর্বাধ্যক্ষ ও আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়ক শ্রীযুত সুভাষচন্দ্র বসু জাপানী ও জাপ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের অন্যান্য রাজনীতিকদের নিকট যে সকল ‘তার’ প্রেরণ করিয়াছিলেন, সামরিক আদালত সেগুলিকে সাক্ষী-দলিল হিসাবে গ্রহণ করিয়াছেন।

 ১৯৪৪ সালের ২১শে জুলাই তারিখে জাপ প্রধান মন্ত্রী জেনারেল কয়সোর নিকট এক তার প্রেরণ করিয়া সুভাষচন্দ্র তাহাকে এক প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন যে পূর্ব এশিয়ার ভারতীয়েরা নিপ্পনের পাশাপাশি দাঁড়াইয়া জয়লাভ না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালাইয়া যাইবে। জাপান তাঁবেদার “স্বাধীন ব্রহ্ম” গবর্ণমেণ্টের সর্বাধ্যক্ষ ডাঃ বা ম’র কাছে এবং তার প্রেরণ করিয়াছিলেন। উহাতে তিনি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যে সকল মূল্যবান সাহায্য লওয়া হইয়াছে এবং এখনও দেওয়া হইতেছে তজ্জন্য ডঃ বা ম’ ও স্বাধীন ব্রহ্মের” গবর্ণমেণ্ট ও জনসাধারণকে অভিনন্দন জানাইয়ছেন। উক্ত তারে আরও বলা হইয়াছে:—