পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৫৯

দেওয়াইবেন এবং তৎসাপেক্ষে এখন লেঃ নাগের সাক্ষ্য গৃহীত হইতে পারে।

 সাক্ষী বলেন,—এরূপ একটি দলিল ছিল; কিন্তু উহা কি হইয়াছে তাহা তিনি জানেন না। ঐ দলিলের সার মর্ম্ম এই যে, ২৪ ঘা হইতে উর্দ্ধ সংখ্যা ৫০ ঘা পর্য্যন্ত বেত্রাঘাত করা যাইবে। সপ্তাহে ছয়ঘার বেশী মারা হইবে না। সরাসরিভাবে এই শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা রণক্ষেত্রে ডিভিশন্যাল রেজিমেণ্টাল এবং ব্যাটালিয়ান কম্যাণ্ডারদিগকে দেওয়া হয়।

 আরও প্রশ্নের উত্তরে লেঃ নাগ বলেন—আজাদ হিন্দ ফৌজের মোট সৈন্য সংখ্যা ৫০ হাজার ছিল। ডি এ জি পদে ছিলেন বলিয়া তাঁহাকে সৈন্যসংখ্যা ঠিক রাখিতে হইত। সেই জন্যই তিনি ঐ সংখ্যা জানিতে পারিয়াছিলেন।

 ১৯৪৩ সালের ২১শে অক্টোবর সিঙ্গাপুরে ক্যাথে বিল্ডিং-এ এক সম্মেলন হয়। সাক্ষী ঐ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ৫ হাজার লোক ঐ সন্মেলনে যোগ দিয়াছিলেন। আগন্তুকগণের মধ্যে অসামরিকগণ, আজাদ হিন্দ ফৌজের অফিসারগণ এবং কয়েকজন জাপানী অফিসার ছিলেন।

 এই সম্মেলনে শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসু স্বাধীন ভারতের সাময়িক গভর্ণমেণ্ট প্রতিষ্ঠার বিষয় ঘোষণা করেন। উক্ত গভর্নমেণ্টের সদস্যগণের নামও এই সভায় ঘোষিত হয়। আজাদ হিন্দ ফৌজকে সমর্থন করিবার জন্য তিনি অসামরিকদিগকে অনুরোধ করেন।

 এই সম্মেলনে শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসু আরও ঘোষণা করেন যে,—আজাদ হিন্দ ফৌজ অদূর ভবিষ্যতে ভারত-ব্রহ্ম সীমান্তে যুদ্ধ করিতে যাইবে। শ্রীযুক্ত বসু বলেন,—ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ স্বাধীন ভারত গবর্ণমেটের একজন মন্ত্রী।