পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর অধিনায়কগণ

 ভারতীয় স্বাধীনতা লীগের প্রথম প্রেসিডেণ্ট ও আজাদ হিন্দ গবর্ণমেণ্টের প্রধান পরামর্শদাতা শ্রীযুত রাসবিহারী বসু কয়েক মাস আগে টোকিওতে মারা গিয়াছেন।

 পূর্ব্ব এশিয়ায় ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন সংগঠনে তিনি প্রধান অংশ গ্রহণ করিয়াছিলেন এবং প্রথম অবস্থায় তিনিই এ আন্দোলন পরিচালনা করিয়াছিলেন।

 বাংলার বিপ্লববাদ যখন পাঞ্জাবকে রঙীন করিয়আ তুলিয়াছিল সেই সময় দেরাদুন বনবিভাগের হেডক্লার্ক রাসবিহারী বসু পাঞ্জাবের ষড়যন্ত্রে যোগদান করেন ও তাহাদের নেতৃস্থানীয় হইয়া উঠেন। ১৯১৪ সালের ২৭শে ডিসেম্বব লর্ড হার্ডিংজ্ যখন দিল্লী নগরীতে শোভাযাত্রা করিয়া প্রবেশ করিতেছিলেন তখন তাঁহারই নেতৃত্বে যে বোম। নিক্ষিপ্ত হইয়াছিল তাহাতে বড়লাট ও তাঁহার পত্নী আহত হন এবং কয়েকজন মৃত্যু মুখে পতিত হন। লেডী হার্ডিংজ্ বোমার শব্দে এমনি আঘাত পান যে, তিনি আর ভাল করিয়া সারিতে পারিলেন না এবং উহাই তাঁহার মৃত্যুর শেষ কারণ বলিয়া জানা যায়। এই ঘটনার পর বহু ষড়যন্ত্র ও বোমা-নিক্ষেপের ব্যাপারে রাসবিহারী সংশ্লিষ্ট ছিলেন।

 ১৯১৪ সালে কলিকাতা রাজাবাজার বোমার আখড়া আবিষ্কারের ফলে সেখানকার কাগজপত্রে সরকার উপলব্ধি করিলেন যে, দিল্লীর এই ঘটনা রাসবিহারী ও তাঁহার দলবলেরই কীর্ত্তি। ১৯১৪ সালে সরকার এই সব নথিপত্র হইতে সংগৃহীত তথ্যাবলীর দ্বারা দিল্লী ষড়যন্ত্রের মামলা খাড়া করিলেন। ইহাতে তাঁহার সহকর্মীদের অনেকে ধরা পড়িল এবং অনেকের ফাঁসি হইল। রাস-