পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

আজাদ হিন্দ ফৌজের কোন্ দল কোথায় ছিল

 লেঃ নাগ আরও বলেন— ১৯৪৪ সালের ফেব্রুয়ারী মসে রেঙ্গুণে আজাদ হিন্দ ফৌজের হেডকোয়ার্টার্স ছিল সিঙ্গাপুরেও উহার একটি রিয়ার হেডকোয়ার্টার্স ছিল। ১৯৪৩ সালের মার্চ মাসে আজাদ হিন্দ ফৌজের ১,২, ও ৪নং গেরিলা রেজিমেণ্ট ১২নং বাহাদুর গ্রুপ এবং একটি ইনটেলিজেন্স গ্রুপ এ সময়ে রেঙ্গুণে ছিল। সাক্ষী রেঙ্গুণে পৌঁছিলে মিলিটারী সেক্রেটারী ক্যাপ্টেন সেহগল তাঁহাকে অবিলম্বে মেমিও যাইতে বলেন। ১, ২ ও ৩নং গেরিলা বাহিনী মণিপুর ও আরাকান ক্ষেত্রে ছড়াইয়া পড়িয়াছিল। ৪র্থ গেরিলা বাহিনী মান্দালয়ে ছিল। লেঃ কর্ণেল চ্যাটার্জি আজাদ হিন্দ ফৌজ অধিকৃত অঞ্চলসমূহের শাসনকর্তা নির্বাচিত হইয়াছিলেন। সাক্ষী মেমিওতে পৌঁছিলে লেঃ কর্ণেল চ্যাটার্জি কতকগুলি বিধি-বিধান ও নিয়মাদি পড়িয়া দেখিতে বলেন। অধিকৃত অঞ্চল শাসন করিবার জন্য লেঃ কর্ণেল চ্যাটার্জি ঐ খসড়া প্রস্তুত করিয়াছিলেন।

 লেঃ নাগ ঐ সকল নিয়মাকানুন পাঠ করেন এবং কয়েক সপ্তাহ পরে রেঙ্গুণে ফিরিয়া আসেন এবং ডি এ জি কাজে নিযুক্ত হন। ১৯৪৪ সালের মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসুও রেঙ্গুণে প্রত্যাবর্ত্তন করেন।

 সৈন্যগণের নিয়ম শৃঙ্খলা রক্ষা, নিয়োগ ও বদলীর ব্যবস্থা এবং আজাদ হিন্দ ফৌজ সংক্রান্ত সাধারণ বিধি-ব্যবস্থা করা সাক্ষীর কর্ত্তব্য ছিল। ১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে নানা বিপর্য্যয়ের পর গেরিলা বাহিনীগুলি মান্দালয়ে ফিরিয়া আসে।


সুভাষচন্দ্রের নির্দেশনামা

 গত ১৯৪৪ সালের ১লা আগষ্ট তারিখে আজাদ হিন্দ ফৌজের উদ্দেশে শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসু যে নির্দ্দেশনামা জারী করেন, সাক্ষী সুভাষচন্দ্রের স্বাক্ষরিত সেই নির্দ্দেশনামা সনাক্ত করেন উক্ত নির্দ্দেশনামায় বলা হইয়াছিল যে,—