পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
আজাদ হিন্দ ফৌজ

দিবে এবং রণাঙ্গনে এইরূপ লোকদের বন্দী করিতে পারিবে, তাহাদিগকে বিশেষ পুরস্কার দিবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। বিশ্বাসঘাতক এবং কাপুরুষোচিত আচরণ করিলে পর আজাদ হিন্দ ফৌজের এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে (যে কোন পদমর্য্যাদাসম্পন্নই হউক না কেন) গ্রেপ্তার করিবার অধিকারী ছিল।

 আজাদ ফৌজের সমস্ত অফিসার ও সৈন্যদের উদ্দেশে প্রদত্ত একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কাপুরুষতা ও বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে প্রচারকার্য্য করিবার জন্য একটি দিবস পালন করিতে বলা হয়। এই দিবসে শ্রীযুত বসু নাটকাভিনয়, বিশ্বাসঘাতকদের কুশপুত্তলিকা পোড়ান, রক্তৃতা প্রভৃতি করার প্রস্তাব করেন।

 সাক্ষী অতঃপর ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ কর্তৃক স্বাক্ষরিত কয়েকটি কাগজপত্র পেশ করেন। ১৯৪৩ সালের ১৩ই মার্চ ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ কর্তৃক প্রদত্ত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হইয়াছে—ভবিষ্যতে বিশেষ কার্য্যের জন্য গঠিত বাহিনী বাহাদুর বাহিনী বলিয়া কথিত হইবে। কিন্তু ইহা এমনভাবে প্রচার করা হয় যে, প্রত্যেকটি সৈন্য এই নাম বদলের নিহিতার্থ বুঝিতে পারিয়াছিল। বাহাদুর বাহিনীর কাজ ছিল—গোয়েন্দাগিরি, নাশকতা এবং শত্রুদের মধ্যে প্রবেশ করা। ২৭শে মে তারিখে ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ কর্ত্তৃক স্বাক্ষরিত আর একটি বিজ্ঞপ্তিতে আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদানে ইচ্ছুক ভারতীয় যুদ্ধবন্দীদের গ্রহণ করা এবং বাকী সকলকে যুদ্ধবন্দী হিসাবে জাপ কর্ত্তৃপক্ষের নিকট দেওয়ার কথা বলা হয়।

 সাক্ষী ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ কর্ত্তৃক স্বাক্ষরিত আরও কয়েকটি বিজ্ঞপ্তি আদালতে পেশ করেন। সেগুলি হত্যার অভিযোগ এবং ব্রহ্মে ফৌজের অবস্থা সম্পর্কিত। ইহার একটিতে গ্রামলুণ্ঠনকারী এবং আজাদ হিন্দ ফৌজ ও জাপানী সৈন্যদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপন্নকারী দস্যুদলের সম্পর্কে ব্যবস্থা অবলম্বনের কথা বলা হয়।