পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৬
আজাদ হিন্দ ফৌজ

য়্যাডভোকেট জেনারেল’ এবং অপরটি ‘ডেপুটি য়্যাডজুট্যাণ্ট জেনারেল’। ‘জঙ্গ য়্যাডভোকেট জেনারেলরূপে তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজের আইন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ছিলেন। তিনি বলেন, “সর্ব্বপ্রথম আমি আজাদ হিন্দ ফৌজের আইনের খসড়া রচনা করি। ইহার পর আমার কাজ ফৌজের আইনের দিকে লক্ষ্য রাখা, সামরিক আদালতের এবং তদন্ত ও অন্যান্য শাসনমূলক মামলা পর্যালোচনা করা। সাধারণভাবে আমি আজাদ হিন্দ ফৌজের আইন পরামর্শদাতা ছিলাম। ১৯৪৩ সালের ২১শে ডিসেম্বর তারিখে অস্থায়ী স্বাধীন ভারত সরকার ঘোষণা করা হয়। এই সরকারের আমি আইন পরামর্শদাতা ছিলাম না, আইন পরামর্শদাতা ছিলাম আজাদ হিন্দ ফৌজের। বঙ্গীয় সিভিল সার্ভিসের প্রাক্তন সদ্য মিঃ সরকার নামে এক ব্যক্তি উক্ত ভারত সরকারের আইন পরামর্শদাতা ছিলেন। আইন সম্পর্কীয় ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়ার মত উপযুক্ততা তাঁহার ছিল।

 সাক্ষী বলেন যে, জাপানের সহিত যুদ্ধ আরম্ভ হইবার সময় তিনি পেনাংএ ছিলেন। ১৮৪১ সালের ৮ই ডিসেম্বর যখন যুদ্ধ আরম্ভ হয় তখন সাক্ষী সিঙ্গাপুর অভিমুখে যাত্রা করেন এবং ১৯৪২ সালের ২৬শে জানুয়ারী সিঙ্গাপুরে পৌঁছান। ১৯৪২ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী এক বিমান আক্রমণের ফলে তিনি আহত হন এবং তাহার ফলে নেসুন ক্যাম্পের এক হাসপাতালে তাঁহাকে প্রায় এক মাস কাল কাটাইতেই হয়। হাসপাতাল হইতে ছাড়া পাইয়া তিনি জানিতে পারেন যে উক্ত ক্যাম্পের কম্যাণ্ডাণ্ট ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ।

 মিঃ ভুলাভাই দেশাই:—আপনি কি আপনার পদটি স্বেচ্ছায় গ্রহণ করিয়াছিলেন?

 সাক্ষী:—আমি স্বেচ্ছায় এ্যাডভোকেট জেনারেলের পদ গ্রহণ করি। আমার প্রাথমিক কার্য্য ছিল ভারতীয় জাতীয় বাহিনীর আইন প্রণয়ন।